মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটনের শহর বলে পরিচিত লালবাগ। ঐতিহাসিক জায়গাটিতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকতে। তাই হোটেল শিল্পেরও জেল্লা বেড়েছে। কিন্তু হোটেল ব্যবসার আড়ালেই রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসা, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রেজিস্ট্রি অফিস মোড় থেকে হাজারদুয়ারি, মুর্শিদাবাদ জংশন স্টেশন থেকে বিডিও অফিস এবং মতিঝিল এলাকার বেশ কিছু হোটেলে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদ জংশন স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে পুলিশ অভিযান চালায়। মধুচক্র চালানোর অভিযোগে হোটেলমালিক, ম্যানেজার এবং এক ‘খদ্দের’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিন জন যুবতীকে।
স্থানীয়েরা বলছেন, লালবাগে বেশ কিছু হোটেলে মধুচক্র বসে। দিনরাত ওই হোটেলগুলিতে অচেনা মুখের ভিড় দেখা যায়। সন্ধ্যা গড়ালেই ভিড় দেখা যায় হোটেলগুলিতে। পর্যটন শহরে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন তাঁরা। পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্য দিকে, পুলিশ জানাচ্ছে, বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়েছিল। আইন মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে। লালবাগ মহকুমার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট হোটেলে অভিযান চালানো হয়। তিন জন মহিলাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালানো হবে।’’
আরও পড়ুন:
লালবাগ শহরে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি হোটেল আছে। তাদের সবক’টি যে খুব ভাল চলছিল, তা নয়। তবে এখন চলে! অভিযোগ, যে হোটেলগুলো ভাল চলছিল না, সেগুলো লাভের রাস্তা নিতে গিয়ে মধুচক্রকে ‘আঁকড়ে’ ধরেছে। মুর্শিদাবাদ জংশন স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারির আগে যে রাস্তা, তার দু’পাশে অনেক হোটেলে দেহব্যবসা চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত হোটেলের উপরে এখন থেকে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যটন বাঁচিয়ে রাখতে গেলে কড়া পদক্ষেপ করতেই হবে।