গভীর রাতে বাড়িতে আগুন! পুড়ে গিয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সন্তানের। মৃতদের বয়স ৭ থেকে ৯ বছর। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে শোরগোল মুর্শিদাবাদ জেলার রানিতলা থানার বেণীপুর ভাঙনপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, গোটা গ্রাম তখন ঘুমিয়ে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে ওই অঘটন। বাড়ির রান্নাঘরে বিদ্যুতের খোলা তার ছিল। সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ড বলে মনে করছে দমকল। বস্তুত, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকল। কিন্তু তখন গোটা বাড়িই আগুনের গ্রাসে। গোটা গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেবানোর কাজ শুরু করে দমকল বাহিনী। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কিন্তু তত ক্ষণে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ওই পরিবারের।
জানা যাচ্ছে, বাড়িটিতে শোয়ান শেখ এবং নয়ন শেখ নামে দুই সহোদরের পরিবার থাকে। ঘুমের মধ্যে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় সাহিল ও আদিল নামে দুই বালকের। তারা যমজ ভাই। মারা যায় তাদের দিদি, ৯ বছরের সাজিদাও। তিনটি শিশুই শোয়ানের সন্তান বলে জানা গিয়েছে। শিশুদের মা বলেন, ‘‘যত ক্ষণে আমার ঘুম ভেঙেছে, তত ক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা ঘর। ছেলেমেয়েদের অনেক চেষ্টা করেও বার করতে পারলাম না। দুই যমজ ছেলে, এক মেয়ে আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেল... জানি না কী থেকে কী হল!’’
আরও পড়ুন:
এমন মর্মান্তিক খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার। তিনটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে নশিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এখন তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। বিধায়ক বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দমকল বাহিনীর ভবন ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকায় ওদের পৌঁছোতে একটু দেরি হবে। তার মধ্যে তিনটি শিশুর প্রাণ চলে গিয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারকে যথাসম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করব আমরা।’’