প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে চলছিল বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করেন তিন জন। ঘটনার পাঁচ বছর পরে ওই হত্যাকাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল বহরমপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচার দায়রা আদালত (ফাস্ট ট্র্যাক)। শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারক করিম-উর-রেজ়া। ঘটনার পাঁচ বছর পরে বিচার হল ডোমকলের হত্যা মামলার।
২০২০ সালের ৪ জুলাই ডোমকল সাহাবাজপুরে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদের জেরে আজিবুল শেখ, সাজিবুল শেখ ও রেজাউল করিম মণ্ডল ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন। বচসাচলাকালীন তিন ব্যক্তি হায়দার আলি নামে ওই প্রতিবেশী যুবককে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপান। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী ও বৃদ্ধা শাশুড়ি নবিদা বেওয়া। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও গুরুতর ভাবে জখম করেন ওই তিন জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁদের ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার আরও অবনতি হলে হায়দারকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:
ঘটনার তিন দিন পর, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় হায়দারের। চিকিৎসায় কোনওরকম প্রাণে বাঁচলেও, অক্ষম হয়ে যান বৃদ্ধা শাশুড়ি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। অবশেষে শুক্রবার বহরমপুর ফার্স্ট ট্রাক আদালতের বিচারক করিম-উর-রেজ়া তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
মামলার সরকারি আইনজীবী অতীন উপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে তিন জন পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। মাননীয় বিচারক অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনা খুবই বেদনার ও দুঃখজনক।’’