E-Paper

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৃষিতেও, পঞ্চাশে চমক বিসিকেভির

১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে তার ৫০তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন চলছে। বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা পালিত হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪০
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য

কৃষিক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ। এবারে প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির মধ্যেই ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছেন কর্তৃপক্ষ, বৃহস্পতিবার সে কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য গৌতম সাহা।

১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে তার ৫০তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন চলছে। বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা পালিত হবে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। রয়েছে মেলা থেকে শুরু করে আলোচনা চক্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, গবেষক অনেকেই অংশ নিয়েছেন এতে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে এমন জাতের শস্য বীজ চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আগামী দিনে হাইড্রোপনিক্স, মাশরুম চাষের বিষয় প্রশিক্ষণের কর্মসূচি রয়েছে। এর পাশাপাশি থাকছে মৌমাছি পালন।

বহু দিন ধরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষিক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আসছে। আগামী দিনে কৃষিক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করার বিষয়েও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, ‘‘বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হচ্ছে। যার মধ্যে থাকছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন এগ্রিকালচার’। এ ছাড়াও ‘অ্যাপ্লিকেশন অফ ড্রোন’। মাসখানেকের মধ্যেই তা চালুর চেষ্টা রয়েছে। এগুলো মূলত ছয় মাস থেকে এক বছরের হবে।’’ আধুনিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ আগামী দিনে কৃষিক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, মত বিশেষজ্ঞদের।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষি ও উদ্যান মেলা আয়োজিত হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনের মেলায় ৮০টির বেশি স্টল বসে। আনাজ, মাশরুম, ক্যাকটাস, ফুল, ফল, নানা ধরনের ফসল ও বীজের প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জৈব সার ব্যবহার করে উচ্চফলনশীল ফসল ফলানোর বিষয়ে চাষিদের সরাসরি পরামর্শ দেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। জেলার কৃষি খামারগুলি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন কৃষি খামার এই মেলায় তাদের উৎপাদিত ফসল সাজিয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, ‘‘২০০৬ সালের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বড় আকারে কৃষি মেলার আয়োজন করা হল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Artificial Intelligence AI Kalyani

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy