মনোনয়ন জমার পরে নিরঞ্জন (বাঁ দিকে) ও জগন্নাথ। নিজস্ব চিত্র
দলের অন্দরে দু’জনের সম্পর্ক যা-ই হোক না কেন, রানাঘাটের সাংসদ তথা শান্তিপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় পর্যবেক্ষক জগন্নাথ সরকারকে সঙ্গে নিয়েই শুক্রবার, মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস।
দলের মধ্যে জগন্নাথ-বিরোধী বলে পরিচিত নিরঞ্জন দাবিও করলেন, “জগন্নাথ সরকার আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর সময়ে আমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। বিরোধীরা অপপ্রচার করছে।”
প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে জগন্নাথও বলেন, “আমাদের একই এলাকায় বাড়ি। নিরঞ্জনের দাদার সঙ্গে আমি খেলা করেছি। পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি ষোল হাজার ভোটে জিতেছিলাম। এ বার নিরঞ্জন দ্বিগুণ ভোটে জিতবে।” বিজেপি এই উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণাই করেছে অনেক দেরিতে। শুক্রবার, মনোনয়ন জমার শেষ দিনে নিরঞ্জন রানাঘাট মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে নথিপত্র জমা দেন। দলীয় ঐক্যের চেহারা সামনে আনতে বিবদমান একাধিক গোষ্ঠীর নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। সাংসদ ছাড়াও ছিলেন দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, পাশের কেন্দ্র রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘ডামি’ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন স্বপনকুমার দাম, সব ঠিকঠাক চললে পরে তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা।
এ দিনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শান্তিপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পালও। সিপিএম এবং তৃণমূল প্রার্থী আগেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে শান্তিপুরে এ বার চতুমুখী লড়াই হতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy