E-Paper

কলেজের নতুন ভবন ঘিরে ‘বিতর্ক’

১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রানাঘাট কলেজ। ভৌগলিক কারণে রানাঘাট গুরুত্বপূর্ণ হওয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই বরাবরই এই কলেজে পড়ুয়া সংখ্যা বেশি।

সুদেব দাস

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৯
রানাঘাট কলেজের এই ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়েই বিতর্ক।

রানাঘাট কলেজের এই ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র ।

কলেজে পড়ুয়া সংখ্যা ১৪ হাজারেও বেশি। সেই তুলনায় নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। যে কারণে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রানাঘাট কলেজ কর্তৃপক্ষ। অথচ সেই ভবন নির্মাণের জন্য নেই পুরসভার ‘অনুমতি’। বিষয়টি সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। খোদ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী ভাবে অনুমতি ছাড়াই ওই নির্মাণ কাজ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রানাঘাট কলেজ। ভৌগলিক কারণে রানাঘাট গুরুত্বপূর্ণ হওয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই বরাবরই এই কলেজে পড়ুয়া সংখ্যা বেশি। বর্তমানে কলেজে ২৩টি বিষয়ে পড়ানো হয়। তার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে রয়েছে নয়টি, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও অর্থনীতিতে রয়েছে ১৪টি বিভাগ। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় ১৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য কলেজে রয়েছে তিনটি ভবনের মোট ৭২টি ক্লাসরুম। যে কারণে কলেজে নতুন ভবন ও ক্লাস ঘর প্রয়োজন। তাই কলেজের পুরনো একটি আবাসন ভবনকে ভেঙে শুরু হয়েছে নতুন ভবন নির্মাণ। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরসভার তরফে মেলেনি অনুমতি। সূত্রের খবর, নির্মাণ কাজ শুরুর আগে কলেজের তরফে পুরসভার কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন পত্রের সঙ্গে কলেজের দলিলের প্রতিলিপি দেওয়া হয়নি। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় পুরসভার তরফে মেলেনি অনুমোদন। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাটের পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলেজের তরফে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু দলিলের মত গুরুত্বপূর্ণ নথি বাধ্যতামূলক হলেও, কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দলিল দেখাতে পারেনি। তাই আমরা অনুমতি দেইনি।’’

আবার রানাঘাট কলেজের অধ্যক্ষ অরূপকুমার মাইতি বলেন, ‘‘দলিল কলেজের কাছেও নেই। শুধু দলিলের নম্বরটি রয়েছে। জেলা ভূমি দফতরকে বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। তারা ওই দলিলের দ্বিতীয় কপি আমাদেরকে দেবে। যদিও তা সময় সাপেক্ষ।’’ অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘‘কলেজের তরফে প্রতি বছরই পুরসভাকে ট্যাক্স দেওয়া হয়। তাছাড়া সরকারি অধীনস্থ যে সংস্থা নির্মাণ কাজ করছে, তারা বিভিন্ন সরকারি বড় প্রকল্পের কাজ করে থাকে করে থাকে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে অনুমতি না মিললেও সমস্যার কিছু নেই।’’

ওয়াকিবহল মহলের অনেকেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে বিভিন্ন শহর ও গ্রামীণ এলাকায় থাকা সরকারি জমি ফুটপাত দখল-মুক্ত করতে অভিযান চলেছে। অথচ রানাঘাট শহরে সে ধরনের অভিযান নজরে আসেনি। আবার শহরে নিয়ম না মেনে একের পর এক বহুতল নির্মাণের উদাহরণও রয়েছে। তা হলে কলেজের ক্ষেত্রেই কেন জটিলতা!

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy