Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩
SARI

৬ কোটির সারি হাসপাতাল চালু সাড়ে ৭ মাস পরে! বিতর্কের ঢেউ নদিয়ায়

ধুবুলিয়ার যক্ষ্মা হাসপাতালের পরিত্যক্ত বাড়িতে গড়ে তোলা হবে ওই সারি হাসপাতাল। 

ধুবুলিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে কোভিড হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র

ধুবুলিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে কোভিড হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র

সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ০৬:০৭
Share: Save:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর তাবড় চিকিৎসকেরা যা এখনও বলেননি সেটাই বলছেন নদিয়ার স্বাস্থ্যকর্তারা! তাঁদের দাবি, আগামী সাত-আট মাসেও করোনা দূর হবে না। এবং সেই কারণেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসাবে তাঁরা প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে জেলায় এমন একটি সারি হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছেন যা চালু করা যাবে প্রায় সাড়ে সাত মাস পরে! তা নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে।

কারণ, ভারতে যে সময়কে করোনার তুঙ্গস্পর্শী সময় বলে মনে করা হচ্ছে, সেই জুলাই-অগস্ট মাসে ওই হাসপাতাল চালুর সম্ভাবনাই নেই! ওই দু’ মাস দূরে থাক, চলতি বছরই ওই সারি হাসপাতাল চালু হবে না। এবং রোগীরা সেখানে পরিষেবা পাচ্ছেন না। ঠিক হয়েছে, দরপত্র ডাকার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ২০১ দিনের মধ্যে গোটা কাজ শেষ করে প্রস্তাবিত হাসপাতালকে চিকিৎসার উপযুক্ত করে তুলতে হবে। ধুবুলিয়ার যক্ষ্মা হাসপাতালের পরিত্যক্ত বাড়িতে গড়ে তোলা হবে ওই সারি হাসপাতাল।

সব মিলিয়ে মোট ৫ কোটি ৮০ লক্ষ ৩ হাজার ২৩ টাকার খরচ ধরা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ার নোডাল অফিসার কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মনীশ বর্মা বলেন, “ধুবুলিয়া যক্ষ্মা হাসপাতালকে সরি হাসপাতালে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, “বর্তমানে এই হাসপাতালে এক জনও রোগী নেই। আমরা তাই অনায়াসে একে করোনা মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করতে পারি।’’

আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বাড়ছে: মুকুল রায়

আরও পড়ুন: ‘আমার প্লাজ়মায় যদি প্রাণ বাঁচে...’

কিন্তু প্রশ্ন হল, করোনা পরিস্থিতি কত দিন এ রকম থাকবে, আদৌ সাত মাস পড়ে করোনা থাকবে কিনা, সে বিষয়ে কি নিশ্চয়তা রয়েছে? নিশ্চিত না হয়ে এমন একটা সারি হাসপাতালের প্রয়োজন হল কেন যেটা সাত-আট মাস পড়ে চালু হবে! কেন ৬ কোটি টাকা ব্যয় করে এমন হাসপাতাল বানানো হবে যা জরুরি ভিত্তিতে এখনই পরিষেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় থাকবে না? কেন ভগ্নপ্রায়, পরিত্যক্ত যক্ষ্মা হাসপাতালের বদলে এমন কোনও হাসপাতালকে বাছা হল না যেখানে জরুরি ভিত্তিতে এখনই সারি চিকিৎসা চালু করা যায়?

এর জবাবে নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি, ‘‘করোনা সাত মাস পড়ে থাকবে না এমন কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। তাই সুদূরপ্রসারী প্রয়োজনে এই হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিকঠাক করে সারি হাসপাতাল চালু করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE