Advertisement
১১ মে ২০২৪
Krishnanagar

সদরের সেঞ্চুরি, করোনা বাড়ছেই

গোড়া থেকে সংক্রমণে পিছিয়ে ছিল নবদ্বীপ শহরও। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেখানে সংখ্যাটা আচমকাই বাড়ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

জেলাসদর কৃষ্ণনগরে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া নতুন সাত জনকে নিয়ে সংখ্যাটা হয়েছে ১০২। শান্তিপুর এবং নবদ্বীপেও সংখ্যাটা দ্রুত বাড়ছে।

গোড়া থেকে সংক্রমণে পিছিয়ে ছিল নবদ্বীপ শহরও। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেখানে সংখ্যাটা আচমকাই বাড়ছে। বুধবার সকাল এবং রাত মিলিয়ে পাঁচ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গত ১৭ অগস্ট একই দিনে এক পরিবারের পাঁচ জনের করোনার খবর মিলেছিল। তার পর টানা ছ’দিন নতুন কোনও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। শহরের মানুষ কিছুটা স্বস্তিবোধ করছিলেন। কিন্তু ২৩ অগস্ট থেকে শেষ চার দিনে ১০ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে, যা মিনলিয়ে মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছ ৪১-এ। নবদ্বীপ পুরসভার ৭ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মহিলার সংক্রমণের কথা জানা যায়। এঁদের মধ্যে এক জনের বয়স ৯১ বছর। রাতে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ সংলগ্ন পাকাটোল রোডের এক বাসিন্দা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তুড়োপাড়া লেনের এক দম্পতির কথা জানা যায়।

শান্তিপুর শহরে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ জন। গ্রামীণ শান্তিপুরে আরও দু’জন। শান্তিপুর থানা এলাকাতেও গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১০৮-এ। এর আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ কয়েক দিন পরে আবার এক দিনে এত জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেল।

শান্তিপুর শহরে এবং নতুন যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডেই রয়েছেন ছ’জন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা সম্প্রতি কল্যাণীর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চিকিৎসার জন্য। বাড়ি ফেরার পরে তাঁরও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা সম্প্রতি সংক্রমিত হন। তাঁর পরিবারের দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দারও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শান্তিপুর ব্লকের বাথানগাছির বাসিন্দা এক জন এবং বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকার এক বাসিন্দার রিপোর্টও বুধবার পজিটিভ আসে।

জেলার অন্য শহরের তুলনায় কৃষ্ণনগরে একটু দেরিতেই করোনা সংক্রমণের সন্ধান মিলেছিল। এখনও অনেক এলাকার তুলনায় এই শহরে প্রকোপ কম। কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্যতম প্রশাসক অসীম সাহার দাবি, “এর বড় কারণ কন্টেনমেন্ট জ়োনে কড়া নজরদারি।” কৃষ্ণনগরে এখনও পর্যন্ত ৮০টির মতো কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫২টি খোলা হয়ে গিয়েছে। এ দিন শহরে সংক্রমিত ছিলেন মোট ৪২ জন, যার মধ্যে মাত্র পাঁচ জন গ্লোকাল কোভিড হাসপাতাল ও বাহাদুরপুরের সেফ হোমে আছেন। বাকিদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে পুরসভার দাবি।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnanagar Coronavirus COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE