পড়ে রয়েছে পিপিই কিট। নিজস্ব চিত্র
করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস বা পিপিই কিট যেখানে-সেখানে পড়ে থাকা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বিপজ্জনক মেডিক্যাল বর্জ্য থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। এ বার সেই সমস্যার সামনে পড়েছে শক্তিনগর হাসপাতাল।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের পিছনে আমবাগানের ভিতরে একটি পিপিই কিট পড়ে থাকতে দেখা যায়। শোরগোল শুরু হয়। আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন হাসপাতালের কর্মী থেকে শুরু করে নার্স, চিকিৎসক এমনকি রোগীর পরিবারের লোকেরা। বেলা পর্যন্ত ওই ভাবেই সেটি পড়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের বিশেষ সাফাইকর্মীদের নিয়ে এসে সেটি তুলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ৬৫ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। একমাত্র সেখানেই চিকিৎসক, নার্স ও সাফাইকর্মীরা পিপিই পরেন। সেই ওয়ার্ডের ভিতরেই আছে ‘হাইপোক্লোরাইড’ সলিউশন। ওয়ার্ড থেকে বেরোনোর আগে চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মীরা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভিতরে একটা নির্দিষ্ট স্থানে পিপিই খুলে সেটা হাইপোক্লোরাইড সলিউশনের ভিতরে ডুবিয়ে রেখে যান। পরে সেখান থেকে পিপিই তুলে নির্দিষ্ট ‘ডবল লেয়ার’-এর প্যাকেটের ঢুকিয়ে মেডিক্যাল বর্জ্য হিসাবে নির্দিষ্ট স্থানে তালাবন্দি করে রেখে দেন সাফাই কর্মীরা। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট সংস্থা সে সব সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই ব্যবহৃত পিপিই বাইরে পড়ে থাকার কথা নয় বলে দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে ১০২ নম্বর অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরাও পিপিই পরে থাকেন। তাঁদের কেউ রাতে পিপিই খুলে বাগানে ফেলে দিয়েছেন এমন সন্দেহও করা হচ্ছে। ঘটনার পর হাসপাতালের পিছনের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। যদিও সুপার অমিতাভ ভট্টাচার্য বলছেন, “ঠিক কী ঘটেছে তা খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy