ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রামেই সংসার পেতেছিলেন সুশান্ত বিশ্বাস। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মেরামতির কাজ করতেন। স্ত্রী কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। লকডাউনে দোকান বন্ধ। স্ত্রী খুকুর রোজগারও বন্ধ। আবাস যোজনায় পাওয়া এক চিলতে বাড়ির দাওয়ায় বসে খুকুর আক্ষেপ, ‘‘ঘরে চাল নেই। নেই টাকাও। এখনও প্রায় তিন সপ্তাহ লকডাউন চলবে। এই অবস্থায় কী করে চলবে, জানি না। ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকাতেও কষ্ট হয়।’’ স্ত্রীর পাশে বসা সুশান্ত বললেন, ‘‘আর কিছু দিন এমন চললে বোধহয় না খেয়েই মরতে হবে আমাদের।’’
দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার সুশান্তদের। মেয়ে সঙ্গীতা এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ছেলে বাবার কাছে কাজ শিখছে। চোঁয়া বিবিপাল বিদ্যানিকেতন সংলগ্ন এক চিলতে বাড়িতে বাস সুশান্তর পরিবারের। তাঁর স্ত্রী খুকু বলছিলেন, ‘‘চার জনের সংসারে কোনওরকমে চলছিল। কিন্তু করোনা এবং লকডাউনই আমাদের পথে বসিয়ে দিল।’’ সুশান্ত জানালেন, দোকান থেকে রোজই কাজ করে কয়েকশো টাকা মিলত। কিন্তু গত তিন সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ। তাই তিনি রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। দম্পতির দাবি, ঘরে বাড়ন্ত চাল-ডালে কয়েক দিন চলেছে। এখন তাঁদের একবেলা খেয়ে, আরেক বেলা অনাহারেই দিন কাটছে। সুশান্ত আরও জানান, তাঁদের যে রেশন কার্ড রয়েছে তাতে বিনা মূল্যে রেশনে খাদ্যসামগ্রী মিলছে না।