আজ, সোমবার কার্তিকপুজো। মঙ্গলবার হবে কার্তিক লড়াই। তার সব প্রস্তুতি সারা। বেলডাঙা শহর ও গ্রাম নিয়ে কয়েকশো পুজো নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসছেন। কেউ আত্মীয়ের বাড়ি, কেউ আবার বন্ধুদের বাড়ি। মূল আকর্ষণ কার্তিক লড়াই। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এই কার্তিক লড়াই। তার আগে আজ, কার্তিক পুজো ঘিরে উৎসবের আবহ।
বাথানগড়ে বুড়োশিব, বড় ভৈরব, ষাঁড়ের উপর শিব, নীল ভৈরব, নটরাজ— অনেক শিবের মেলা। সরস্বতী, রাজলক্ষ্মী, বিশ্বরূপ, শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ, রাম, হনুমান, লোকনাথ, সাঁইবাবার পুজোও একই সঙ্গে হবে। থাকছে প্রাচীন বাবু কার্তিক, হাতি কার্তিক, রাজ কার্তিক, জোড়া কার্তিক। কয়েকটি কালী প্রতিমারও পুজো হয় এ দিন।
বেলডাঙা পুরসভা এলাকায় কয়েকটি বুড়ো শিবের পুজো হবে। রাস্তার পাশে ম্যারাপ বেঁধে প্রতিমা বসানো হয়েছে। এক দর্শনার্থী রক্তিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি কৃষ্ণনগরে থাকি। বেলডাঙায় মাসির বাড়ি এসেছি কার্তিক লড়াই দেখতে।” আরেক জন প্রবাল সেন বলেন, “আমি মালদহ থেকে এসেছি বেলডাঙার কার্তিক পুজো এবং কার্তিক লড়াই দেখতে।”
বেলডাঙায় পিসির বাড়িতে আসা কল্পনা রাহা বলেন, “আমার পিসির বাড়ির কাছে গণেশ পুজো হয়। প্রসাদ খাওয়া থেকে শুরু করে সব অনুষ্ঠানে যোগদান করি।”
মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, আগে যে সমস্ত মূর্তি হত, এখন তার আঙ্গিক বদলেছে। ১১-১৪ ফুট উচ্চতার প্রতিমা কাঁধে নিয়ে বিসর্জন শোভাযাত্রায় যোগদানই কার্তিক লড়াইয়ের মূল থিম। আদপে এটি বাদ্যযন্ত্রের প্রতিযোগিতা। রাস্তার মোড় থাকবে কোন প্রতিমার দখলে, তাই নিয়েই লড়াই। মূর্তির উচ্চতাও প্রতিযোগিতায় বিবেচ্য।
সোম ও মঙ্গলবারের ভিড় সামাল দিতে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে বেলডাঙা পুরসভার পক্ষ থেকে। পুরপ্রধান অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে। কী করতে হবে, কী করা যাবে না, সব বোঝানো হয়েছে পুজোর উদ্যোক্তাদের। পুজো এবং বিসর্জনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)