প্রতীকী ছবি।
কাকভোরে ঘুম চোখে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, তার পর গঙ্গা বা অন্য নদীর ঘাটে তর্পণ করতে ছোটা। কিন্তু করোনা কালে এ বার তা কত দূর হবে, সন্দেহ। কেননা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে হাজার হাজার মানুষের তর্পণ করা কতটা সমীচিন, সেই প্রশ্ন থাকছেই।
তর্পণের সকালে নবদ্বীপে রানির ঘাট, শ্রীবাস অঙ্গন ঘাট, মণিপুর ঘাট, দেয়ারাপাড়া ঘাট, ফাঁসিতলা ঘাট, পোড়া ঘাট, জন্মস্থান ঘাট-সহ গঙ্গার ডজনখানেক ঘাটে লাখো মানুষের ভিড় হয় প্রতি বছর। উত্তরবঙ্গ বা কলকাতা থেকে পুণ্যার্থীরা আগের রাতে এসে হোটেল বা ধর্মশালায় থেকে তর্পণ করে ফিরে যান। সকাল থেকে মাঝদুপুর পর্যন্ত ১০-১২ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঘাটে পুরোহিতেরা এক-এক বারে ৪০-৫০ জনকে তর্পণ করান মিনিট পনেরো ধরে। এক-এক ঘাটেই ডজনখানেক পুরোহিত কিছুটা করে জায়গা নিয়ে কাজ করান। গোটা ঘাটে ঠাঁই থাকে না। বেলা যত গড়ায়, ভিড় বেড়ে ওঠে। স্নান ও তর্পণ একই সঙ্গে চলতে থাকে।
করোনা কালে এমন জনসমাগমের ফল মারাত্মক হতে পারে। তর্পণের সকালে ভিড় ঠেকাতে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির ও সংলগ্ন তিনটি ঘাট বন্ধ রাখা হয়েছে। নবদ্বীপে রানি রাসমণির কাছারির কনস্টিটিউটেড অ্যাটর্নি অ্যান্ড ম্যানেজিং সেবাইত তথা দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবোত্তর এস্টেটের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, “দক্ষিণেশ্বর মন্দির বন্ধ না করে উপায় ছিল না। মানুষকে বলে বুঝিয়ে ঠেকানো যায় না।”
নবদ্বীপ পুরসভা কতটা সতর্ক? পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “তর্পণের সময়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে। কেউ যদি না মানেন, পুলিশ প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও রানির ঘাট অঞ্চলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মিহিরকান্তি পাল বলেন, “এক সঙ্গে তর্পণ করাতে পারবেন না পুরোহিতেরা। কী ভাবে দূরত্ব বজায় রাখা যায় তা নিয়ে ভাবনা চলছে।”
নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোল ঘোষ বলেন, “বাইরে থেকে দল বেঁধে গাড়ি করে আসা নিয়ন্ত্রিত হবে। বিধিনিষেধ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy