Advertisement
১০ মে ২০২৪
সুযোগ খুঁজছে ফড়েরা
Paddy

ধান কিনতে নড়াচড়া কম প্রশাসনের

জেলা প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে এ ব্যাপারে তাঁরা নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু এই শুকনো আশ্বাস বাস্তবের সঙ্গে মিলছে না।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:১৪
Share: Save:

সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে সরকারি উদ্যোগ শুরু হলেও চাষির মুখে তা হাসি ফোটাতে পারেনি। হেমন্তের ধান উঠে গিয়েছে গোলায়। কিন্তু লকডাউনের জড়তা কাটিয়ে চাষিদের ধান কেনার শিবিরের রমরমা শুরু হয়নি। সরকারি মূল্য বরাবরই বেশি হয়। কিন্তু শিবিরের ঘনঘটা না থাকায় চাষির কাছে আনাগোনা শুরু করেছে ফড়েদের। সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা তাঁদের মধ্যে সংশয় তৈরি করেছে। কৃষি কর্তাদের অনেকেই তাই মনে করছেন এই সুযোগে কম মূল্যে চাষিদের ধান কিনে নিতে পারে ফড়েরা। মুর্শিদাবাদ জেলায় এখন পর্যন্ত সরকারি শিবির হয়েছে সাড়ে তিনশোটির মতো। ধান কেনার গতি না বাড়ালে ফড়েরা যে চাষির উঠোনে ঝাপিয়ে পড়বে তা নিশ্চিত। তাঁদের অনেকেই মনে করছেন মরসুমের শুরুতে ধান কেনার শিবিরের সংখ্যা না বাড়লে প্রান্তিক চাষিরা ফড়েদের খপ্পরে পড়তে বাধ্য।

জেলা প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে এ ব্যাপারে তাঁরা নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু এই শুকনো আশ্বাস বাস্তবের সঙ্গে মিলছে না। ষদিও এখনও পর্যন্ত সহায়ক মূল্যে ধান কেনার নিরিখে অন্য জেলার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ।

জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘শিবিরের সংখ্যা এথনও যথেষ্ট না হলেও জেলার একজন কৃষককেও যাতে অভাবী বিক্রি করতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলা খাদ্য নিয়ামক রাজু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এজেলায় ৩৯হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। ২৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনা হচ্ছে। ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত এজেন্সিগুলিকেও শিবির বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে খরিফ মরসুমে জেলায় ১লক্ষ ৮২হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।

গত বছর জেলায় সম পরিমাণ জমিতে সাড়ে সাত লক্ষ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছিল। আবহাওয়া ধান চাষের অনুকুলে থাকায় এবারে আরও ১০শতাংশ বাড়তি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমি থেকে ধান তোলা হয়েছে।

নভেম্বরের শুরু থেকে জেলায় কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এপর্যন্ত মুর্শিদাবাদের ২৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ১১হাজার ৩২১জন চাষি প্রায় ২১হাজার মেট্রিকটন ধান বিক্রি করেছেন। অন্যদিকে তিনটি এজেন্সি জেলা জুড়ে ৩৫০টি ধান কেনার শিবিরে ৭হাজার ২৮৫জন কৃষক ১৮হাজার মেট্রিকটন ধান বিক্রি করেছেন।

জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, এবছর একজন কৃষক সহায়ক মূল্যে ৯০কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE