সাক্ষী অপারেশন সিঁদুর থেকে কার্গিলের, অবসরের পরে স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক

তিনি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছিলেন অপারেশন সিঁদুর অভিযানে। এখন তিনি প্রাক্তন। অবসরের পরে মঙ্গলবার রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প থেকে নিজের বাড়ি রানাঘাটে ফিরে এলেন প্রাক্তন বিএসএফ আধিকারিক কৃষ্ণকান্ত হালদার। স্থানীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন যুদ্ধের স্মৃতিও। শুধু অপারেশন সিঁদুর নয়, তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিও।

সেনাবাহিনীতে কৃষ্ণকান্তের কাজের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ৪২ বছরের। অবসরের আগে বিএসএফের ১২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ড ইনস্পেক্টর ছিলেন তিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনের শেষে তিনি নিজের গ্রাম কীর্তিনগরে ফিরলেন। মঙ্গলবার তিনি রানাঘাট স্টেশনে নামলে তাঁকে দেখতে ভিড় জমান কীর্তিনগর গ্রামের বাসিন্দারা। মালা পরিয়ে বরণ করার সঙ্গে স্লোগান তোলা হয় ‘ভারত মাতা কি জয়’। সেখানেই তিনি উৎসুক জনতার সঙ্গে ভাগ করে নেন অপারেশন সিঁদুরের কথা। কার্গিল যুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিও তুলে ধরেন। শুধু নিজের নয়, তাঁর কথায় উঠে আসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন বীরগাথা।

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা কখনও ভয় পাবেন না। ২৪ ঘন্টা মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য আমাদের মত অনেক সেনা দাঁড়িয়ে আছেন দেশের সীমান্তে। প্রতিপক্ষকে দমন করার সব ক্ষমতা ভারতীয় সেনা ও অধাসেনাদের রয়েছে।’’ আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার বীরত্বের কাছে টিকতেই পারেনি পাকিস্তানের সেনা। ভারত যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তাতে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের কৌশল দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল তারা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তানের সেনারা কখনও সামনে থেকে লড়াই করে না। ওরা লড়াই করে লুকিয়ে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, ‘‘গুলি খেতে হলে বুকে খাব, পিঠে নয়। কখনও ভারতের ক্ষতি হতে দেব না।’’