দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল বনাম তৃণমূল! মুর্শিদাবাদে বিডিও-র কাছে অভিযোগ নেতাদের

বিরোধীরা নয়। তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল তৃণমূলই। শুধু অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, এ নিয়ে বিডিও-র কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। এই নিয়ে শাসকদলে কোন্দল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। পরস্পরকে দোষারোপ করছে তৃণমূলের দুই পক্ষ।

বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোমবার বিডিও তুহিনকান্তি ঘোষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূলের একাংশ। তার মধ্যে ছিলেন বেলডাঙা-২ ব্লকের পশ্চিম চক্রের তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোলক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের লোকের বিরুদ্ধে কেন তাঁরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন, তার কারণ হিসাবে গোলক বলেন, “ধানের বীজ, মাছের চারা থেকে বিভিন্ন জিনিস বণ্টন ঠিক মতো হচ্ছে না। তাই পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে আমরা বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘এই এলাকায় বিভিন্ন কাজে এখানকার ঠিকাদাররা টেন্ডার পান না। বাইরের ঠিকাদাররা টেন্ডার পাচ্ছেন। কারসাজি করে জলঙ্গি, বহরমপুরের ঠিকাদারদের টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে।’’ ওই তৃণমূল নেতার দাবি, দলের একাংশের জন্য রাজ্যের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া ব্লকটি তাঁদের।

দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘কিছু লোক বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে একজন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তিনি অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি ঠিকমতো বণ্টন হচ্ছে না। তাঁকে বলতে চাই, আপনি তৃণমূল দলকে এই এলাকায় শেষ করছেন। লোকসভা নির্বাচনে আপনার নিজের বুথে তৃণমূল মাত্র ২১টি ভোট পেয়েছে।’’ আতাউরের দাবি, গোলক নিজের এলাকায় বিজেপিকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করেছেন। আর যে হেতু নিজে ঠিকাদারি ব্যবসা করেন, পঞ্চায়েতের টেন্ডার নিজে পেতে চাইছেন। তাই এই অভিযোগ। আতাউর বলেন, ‘‘উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দেব যে, কোনও দুর্নীতি হয়নি।’’