বিয়ের আড়াই বছর পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিকৃত যৌনতার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ সদ্য ১৮ বছরে পা দেওয়া এক বধূ। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বধূর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ‘বিকৃত যৌনতা’ করেন স্বামী। পাল্টা অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, বাপের বাড়ির লোকেদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বধূ।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণী যখন নাবালিকা তখন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিযুক্ত যুবক। বিয়ের প্রায় আড়াই বছর হয়ে গিয়েছে। এখন প্রাপ্তবয়স্ক ওই বধূ। দম্পতির একটি ১৮ মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু বধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তিনি শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। এখন তাঁর দাম্পত্য জীবন আরও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
‘নির্যাতিতা’ বলেন, ‘‘কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পরে আমার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘স্বামী ঠিক মতো খেতে দেয় না। কেমন আছি, কখনও খোঁজ নেয় না। কিন্তু নিয়মিত নিজের শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হত।’’ তিনি জানান, পারিবারিক অশান্তির জেরে কয়েক মাস আগে তিনি বাপেরবাড়ি চলে যান। সেখান থেকে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকে আমার উপর অত্যাচার হত। অসুস্থ অবস্থাতেও আমায় শারীরিক মিলনে বাধ্য করত ও। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
এর পাশাপাশি স্বামীর সঙ্গে অন্য এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বধূ। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক বধূ। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।