প্রশিক্ষণ। নিজস্ব চিত্র
কখনও শেখানো হল বায়োডাটা কী ভাবে লিখতে হয়, কখনও জানানো হল ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় কী ধরনের পোশাক পরা উচিত আর কী উচিত নয়। রাজ্যের আরও বেশ কিছু কলেজের মতো নদিয়ার আসাননগরের মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজ ও মাজদিয়ার সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হল ‘জিলেট গার্ড সাফল্য হাতের মুঠোয়’ কর্মসূচি। আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগিতায় এই কর্মশালায় কর্মজগতে প্রবেশের খুঁটিনাটি উপায় শেখানো হয়।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের ৪৩ জন ছাত্রী ও ১৮৪ জন ছাত্র এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজে ৯৬ জন ছাত্রী ও ১৮৭ জন ছাত্র এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিতদের মধ্য থেকে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় দশ জন করে। তাঁদের মধ্য থেকে ‘গ্রুপ ডিসকাশনের’ মাধ্যমে এক জন করে বেছে নেওয়া হয়েছে। সফল ছাত্রের সঙ্গে রাজ্যের অন্য কলেজের সফলদের প্রতিযোগিতা হবে। শেষ পর্বের প্রতিযোগিতায় সফল হবেন যাঁরা, তাঁদের কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। আয়োজকদের দাবি, এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল ছাত্রাবস্থা থেকেই চাকরির পরীক্ষার উপযুক্ত করে তোলা যুবসমাজকে।
হরিহরপাড়ার হাজি এ কে খান কলেজে। ছবি: সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়।
যাতে পড়া শেষে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে মফস্সল বা গ্রামের ছেলেমেয়েরা হোঁচট না খান। অনেক ক্ষেত্রেই সব রকম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব ও আদব-কায়দায় রপ্ত হতে না পেরে পিছিয়ে পড়েন। পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাসের অভাবও পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ধরনের দুর্বলতা দূর করার করার চেষ্টা করা হচ্ছে কর্মশালায়।
প্রশিক্ষণ শেষে মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র দেবব্রত বর্মন বলেন, ‘‘আজ যা শিখলাম তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল। যে পথ আমাদের দেখানো হল, সেই ভাবেই আমরা এবার থেকে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হব। তবে এই ধরণের প্রশিক্ষণ শিবিরও খুব জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy