Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Dooars

চিতাবাঘ এবং হাতির হামলার দুই পৃথক ঘটনায় ডুয়ার্সের গ্রামে আহত মহিলা-সহ ৩

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঠিয়াতে একটি জল নিকাশি নালায় কাজ করছিলেন লক্ষ্মী ওরাওঁ নামে এক মহিলা শ্রমিক। হঠাৎ পেছন থেকে একটি চিতাবাঘ তাঁকে আক্রমণ করে।

চিতাবাঘের আক্রমণে আহত মহিলা।

চিতাবাঘের আক্রমণে আহত মহিলা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৪
Share: Save:

এক দিকে চিতাবাঘ। অন্য দিকে হাতি। ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ওই দুই বুনোর হামলায় জখম হলেন মোট ৩ জন।

নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগানে চিতাবাঘের সঙ্গে রীতিমতো মল্লযুদ্ধ বেঁধে যায় এক মহিলা চা শ্রমিকের। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এলে জন্তুটির হামলায় জখম হন আরেক শ্রমিক। অন্য দিকে, একটি দলছুট দাঁতালের হামলায় বানারহাটের হৃদয়পুর বস্তিতে আহত হন এক কৃষক। চিতাবাঘের ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকেলের। অন্য দিকে, হাতির হামলার ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে।

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঠিয়াতে একটি জল নিকাশি নালায় কাজ করছিলেন লক্ষ্মী ওরাওঁ নামে এক মহিলা শ্রমিক। হঠাৎ পেছন থেকে একটি চিতাবাঘ তাঁকে আক্রমণ করে। নিজেকে বাঁচাতে লক্ষ্মী প্রাণপণ লড়াই শুরু করে দেন। কয়েক মিনিট ধরে ওই ধ্বস্তাধস্তি চলে। ওই দৃশ্য দেখে পাশেই কর্মরত শুভম ওরাওঁ নামে এক শ্রমিক এগিয়ে এলে চিতাবাঘটি তাঁকে আক্রমণ করে বসে। পরে অন্য শ্রমিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে জন্তুটি চা বাগানের ঝোপে ঢুকে পড়ে।

আহত দু’জনকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও বর্তমানে দুজনেই বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম দুই শ্রমিকরই বাড়ি বাগানের মাতু লাইনে। গাঠিয়া চা বাগানের ম্যানেজার নবীন মিশ্র বলেন, ‘‘চিতাবাঘের হামলা ঠেকানোর জন্য বন দফতরের কাছে খাঁচা পাতার আবেদন করা হয়েছে।’’

অন্য দিকে, হৃদয়পুর বস্তিতে হাতির দাঁতে যে ব্যক্তি জখম হন তাঁর নাম সেলুকাস ওরাওঁ। সোমবার গভীর রাতে একটি দলছুট দাঁতাল ওই গ্রামে ঢুকলে তিনি হাতিটির সামনে পড়ে যান। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও গজদন্তের আঘাতে তাঁর কাঁধের নীচে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তিনি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বন দফতররে বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের সজল দেবনাথ বলেন, ‘‘চিতাবাঘ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চা বাগানের শ্রমিকদের দল বেঁধে কাজে যাওয়া ও সেই সঙ্গে বাগানের ভেতর ঢোকার আগে আশপাশ দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’ বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।’’ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় আংরাভাসা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্বতী ছেত্রী বলেন, ‘‘গোটা তল্লাটেই হাতির উপদ্রুত। প্রাণ হাতে করে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন। হাতি তাড়াতে বন দফতরের ভূমিকায় কেউই সন্তুষ্ট নন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dooars Leopard attack elephant attack woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE