—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-বিরোধিতায় ত্রিপুরা এবং অসমে তৃণমূলের জোর তৎপরতার মাঝেই উল্টো হাওয়া মালদহের একটি পঞ্চায়েতে। সেখানে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড দখলে সাহায্য করার ‘অভিযোগ’ উঠল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। শনিবার ‘দলবিরোধী কাজের অভিযোগে’ ওই পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার এ কথা জানিয়েছেন মালদহের মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজেপি-র মতো ‘সাম্প্রদায়িক দল’কে সমর্থন করার জন্য মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্য সাবিনা খাতুন, শেখ সাজিদ, সামিনা খাতুন, সাজদা খাতুন এবং মহম্মদ হাসানুজ্জামান দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৭। বিজেপি ছয়, তৃণমূল নয় এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল দুই। তবে তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য প্রধানের আসনটি সংরক্ষিত হওয়ায় বিজেপি থেকে নির্বাচিত মাম্পি রজক প্রধান হয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি-র সদস্যরা মাম্পির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তাতে তৃণমূল এবং কংগ্রেস দু’দলই সমর্থন করে। অভিযোগ, দলের নির্দেশ অমান্য করে তৃণমূলের ওই পাঁচ জন সদস্য পঞ্চায়েত প্রধানের বিরোধী বিজেপি-র সদস্যদের একাংশের সঙ্গে হাত মেলান। মাম্পিকে সরিয়ে প্রধান করা হয় বিজেপি-র সুকনি সাহা চৌধুরীকে। তৃণমূলের ওই পাঁচ জন ছাড়াও সুকনিকে সমর্থন করেন বিজেপি-র পাঁচ সদস্য এবং সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আর এক সদস্য। উপপ্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের শেখ সাজিদ। তবে তৃণমূলের চার জন, বিজেপি এবং কংগ্রেসের এক জন করে মোট ছ’জন বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেননি।
এই ঘটনায় পরই ব্লক থেকে জেলা— দুই নেতৃত্বই অস্বস্তিতে পড়েন। এর পর দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ওই পাঁচ জনকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন সাবিত্রী মিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy