Advertisement
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
Ambulance

Palanquin Ambulance: পালকি চড়ে গ্রাম থেকে হাসপাতালে যাবে রোগী, বক্সার বাসিন্দাদের জন্য চালু নয়া পরিষেবা

বক্সা নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঘন জঙ্গল, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর বক্সা দুর্গ। কিন্তু এই গভীর জঙ্গলেই বসবাস করে বিভিন জনগোষ্ঠী।

বক্সার গ্রামে পালকি অ্যাম্বুল্যান্স।

বক্সার গ্রামে পালকি অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালচিনি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:২০
Share: Save:

আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি গ্রাম। সেখানে গাড়ি চলাচল দূর অস্ত, রাস্তা মানে চড়াই-উতরাই বা শুঁড়িপথ। ইন্দো-ভুটান সীমান্তের সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য এ বার পালকি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করল প্রশাসন।
বক্সা নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঘন জঙ্গল, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর বক্সা দুর্গ। কিন্তু এই গভীর জঙ্গলেই বসবাস করে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে বক্সা, লেপচা, তাসিগাঁওয়ের মতো সাত-আটটি গ্রাম। আজও সেই সব গ্রামের মহিলাদের সন্তান প্রসব করানো হয় বাড়িতেই। হাসপাতাল, নার্সিংহোমের মতো পরিষেবা সেখানে যেন স্বপ্ন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বক্সার সেই গ্রামগুলিতে এ বার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করল জেলা প্রশাসন। তবে চাকায় নয়, সেই অ্যাম্বুল্যান্স ছুটবে পায়ে পায়েই। আসলে তা পালকি অ্যাম্বুল্যান্স।

সাধারণত আশঙ্কাজনক রোগী অথবা সন্তানসম্ভবাদের ডুলি করে নামানো হয় জিরো পয়েন্টে। সেখান থেকে গাড়ি তে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এমন পরিস্থিতির জেরে প্রাণও হারাতে হয় অনেককে। এ বার পালকি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এমন অভিনব পদ্ধতিতে স্বভাবতই খুশি বক্সা ফোর্টের বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র মিনা বলেন, ‘‘বাঁশের ডুলি করে দুর্গম পথ অতিক্রম করতে গিয়ে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তাই নতুন ভাবনা থেকেই পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু করা হয়েছে বক্সায়।’’

পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাকে।

পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাকে। নিজস্ব চিত্র।

গত ৯ ডিসেম্বর তারিখ জেলা প্রশাসন ওই নয়া অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা উদ্বোধন করা হয়। মনে করা হচ্ছে এর জেরে সন্তানসম্ভবা এবং আশঙ্কাজনক রোগীরা দারুণ উপকৃত হবেন। দ্রুত তাঁদের নিয়ে যাওয়া যাবে হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে চড়িয়ে মঙ্গলবারই এক সন্তানসম্ভবাকে আনা হয় জিরো পয়েন্টে। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখন সুস্থ রয়েছেন সেই মহিলা এবং তাঁর সন্তান। আলিপুরদুয়ার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে একটি পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু থাকলেও, চলতি মাসে আরও আটটি পালকি দেওয়া হবে বক্সা ফোর্টের বিভিন্ন গ্রামে। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামের জন্য বরাদ্দ হবে একটি করে পালকি অ্যাম্বুল্যান্স।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আধিকারিক তুষার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে প্রথম পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু হয়েছে। ওখানে আশপাশে ১১টা গ্রাম আছে। আমরা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চড়িয়ে আনি। তার পর ১০২ তে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্সে চড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আমাদের সহায়তা করছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিরাপদ মাতৃত্ব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE