Advertisement
E-Paper

জট ‘খুলল’ রাস্তা সংস্কারে

এ দিন বালুরঘাটে জেলাশাসকের ঘরে আয়োজিত বৈঠকে উপস্হিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, সহকারী সভাধিপতি ললিত টিগ্গা, মেন্টর সোনা পাল-সহ জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২২
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরে ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে রাস্তা মেরামতির জট খুললেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল— বুধবার ওই বৈঠকের পরে এমনই দাবি করেন দলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। বিজেপির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঁয়া অবশ্য দাবি করেন, ‘‘জেলা পরিষদের কাজকর্মে জট শাসকদলের সদস্যরাই তৈরি করেন।’’ অভিযোগ, দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে ৪৮টি বেহাল রাস্তা মেরামতির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু টেন্ডার প্রক্রিয়া আটকে ছিল।

এ দিন বালুরঘাটে জেলাশাসকের ঘরে আয়োজিত বৈঠকে উপস্হিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, সহকারী সভাধিপতি ললিত টিগ্গা, মেন্টর সোনা পাল-সহ জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্য।

জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসকদলের ১৩ জন সদস্য থাকলেও কাজ হচ্ছে না শুনে মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সহকারী সভাধিপতি ও ১২ জন সদস্যকে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে জেলা পরিষদে কাজ শুরুর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বৈঠকের পর অর্পিতা বলেন, ‘‘দেড় মাস ধরে জেলাপরিষদের অধীনে ৪৮টি রাস্তা সংস্কারের কাজ আটকে ছিল। বৈঠকে পরে ওই কাজগুলির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হল।’’ রাস্তাগুলি মেরামতের খরচ বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ ধরে ১-২ দিনের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে অর্পিতা জানান।

বিজেপি জানিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে বিজেপিতে শামিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ পাঁচ সদস্যকে ডাকা হয়নি। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঁয়া পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অসহযোগিতার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। দু’মাস আগে জেলা পরিষদের জেনারেল বডির সভা হয়। তার পরে হয় অর্থ কমিটির সভা। সেই সময় রাজ্য থেকে এই জেলা পরিষদের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। তাই ওই রাস্তাগুলি মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।’’ তাঁর দাবি, সম্প্রতি রাজ্য থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাঁরা ওই টাকার মধ্যে ১৮ জন সদস্যের প্রত্যেকের এলাকায় রাস্তা মেরামতির জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়ে সভা ডেকেছিলেন। অভিযোগ, শাসকদলের কোনও সদস্য সেখানে উপস্থিত হননি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘জেলা পরিষদের উন্নয়নের কাজ আমরাও সব এলাকায় চালু করতে চেয়েছিলাম।’’

Mamata Banerjee TMC Dakshin Dinajpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy