নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অশোক ভট্টাচার্যকে। নিজস্ব চিত্র
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। রবিবারের ঘটনা। এ দিন সকালেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। মেয়রের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতেই কয়েক বার বমি হয় তাঁর, শরীর ঘামতে থাকে। এর পরে প্রথমে হাকিমপাড়ার এবং পরে সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানো হয়। চিকিৎসকদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষায় অশোকের করোনারি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ, সোমবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
মেয়রের অসুস্থতার খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যান দলের নেতা, কাউন্সিলররা। মেয়র অসুস্থ জেনে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও। এ ছাড়াও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার, পুরসভার কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুজয় ঘটক দেখতে যান মেয়রকে। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরীও এ দিন নার্সিংহোমে গিয়েছেন।
এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ মেয়রের বাড়িতে গিয়েছিলেন মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ। শঙ্কর জানান, তাঁকে দরজা খুলে দেওয়ার সময় মেয়র জানান তাঁর শরীর ভাল লাগছে না। অ্যাসিডের সমস্যা হচ্ছে এমন সন্দেহ করে মেয়র শঙ্করকে বলেন ওষুধ নিয়ে আসার জন্য। শঙ্কর জানান, তিনি ওষুধ নিয়ে এসে দেখেন মেয়র বিছানায় শুয়ে। দু’বার বমিও হয়েছে। তখনই এক চিকিৎসককে ডাকেন শঙ্কর। পরে মেয়র ফোন করেন চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তীকে। তাঁর পরামর্শ মেনে হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সেখানে মেয়রকে দেখেন শেখরবাবু। ইসিজি করেন। তিনি তখন অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানোর পরামর্শ দিয়ে সেবক রোডের অপর একটি নার্সিংহোমে মেয়রকে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দেবজ্যোতি সরকারের অধীনে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ ভর্তি করানো হয় অশোককে।
শেখর বলেন, ‘‘এ দিন সকালে মেয়র হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরীক্ষা করে দেখি মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানো দরকার। তাই একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলি। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে একটি করোনারি ধমনীর ৮৫ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করানো দরকার। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’’ চিকিৎকরা জানান, ডায়াবেটিসের রোগী মেয়র। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়।
শঙ্কর ঘোষ জানান, মেয়র চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইছিলেন না। বারবার অনুরোধ করে চিকিৎসক ডাকতে হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গৌতম দেব জানান, যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy