Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Governor CV Ananda Bose Visits to Dinhata

রাজ্যপালের কথামতো রাস্তায় নালিশ জানাতে গিয়ে রক্ষীদের ঘাড়ধাক্কা খেল কংগ্রেস, সিপিএম

সিপিএম নেতা রাজ্যপালের গাড়ির পিছনে বেশ কিছু ক্ষণ দৌড়তে থাকেন। ‘অনুগ্রহ করে এক বার শুনুন’ বলতে বলতে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যপালের কনভয়।

CPM and Congress leader claims they were pushed back by police as tried to talk with Governor CV Ananda Bose

রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের ধাক্কা খেলেন সিপিএম নেতা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দিনহাটা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১৬:০৪
Share: Save:

কোচবিহার পৌঁছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, চাইলে যে কেউ তাঁকে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানতে পারেন। তিনি শুনবেন। সেই মতো পদক্ষেপও করবেন। চাইলে কেউ তাঁর যাত্রাপথে গাড়ি আটকেও অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত পুলিশের ঘাড়ধাক্কা খেতে হল সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের। রাজ্যপালের গাড়ির পিছনে দৌড়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারলেন না তাঁরা। আর এ নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুই বিরোধী দলের দুই প্রতিনিধি। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল বোস তাঁদের কথা শুনছিলেন। কিন্তু শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করতেই তাঁদের ঠেলে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

শনিবার সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিংসার অভিযোগ করেন। এর পর রাজ্যপাল দিনহাটার দিকে রওনা দেন। ওই পথে রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রলোক দাস। তাঁর পাশে ছিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। পিছনে দুই দলের পতাকা হাতে দাঁড়িয়েছিলেন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকেরা। শুভ্রর কথা শুনতে রাজ্যপাল বোসের গাড়ি থামে। শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন শুভ্র। কিন্তু আচমকা তাঁকে ধাক্কা দেন এক পুলিশ আধিকারিক। এর পর রাজ্যপালের কনভয় বেরিয়ে যায়। যদিও সিপিএম নেতা রাজ্যপালের গাড়ির পিছনে বেশ কিছু ক্ষণ দৌড়তে থাকেন। ‘স্যর, অনুগ্রহ করে এক বার শুনুন’ বলতে বলতে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যপালের কনভয়। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শুভ্র। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল আমাদের কথা শোনার চেষ্টা করেছিলেন। আমি কথা বলছিলাম ওঁর সঙ্গে। কিন্তু প্রশাসন আমাদের বাধা দিয়েছে।’’ তাঁর পাশে দাঁড়ানো এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আমরা সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে রাজ্যপালকে জানাতে চেয়েছিলাম যে, কী ভাবে দিনহাটা-১ এবং ২ ব্লকে তৃণমূলের তাণ্ডব চলছে। গীতালদহে কী ভাবে বিরোধীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু এখানকার প্রশাসন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দিল না। আমরা রাজ্যপালকে এ নিয়ে স্মারকলিপি দেব।’’ রাজ্যপালকে সামনে পেয়েও পুলিশের জন্য কথা বলা গেল না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে দিনহাটায় মৃত এবং আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভু দাস খুন হন গত ১৮ জুন। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের কিসামত দশগ্রাম এলাকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। সেদিনের ঘটনার বিবরণ শোনেন। মৃত শম্ভুর ছবিতে মাল্যদানও করেন রাজ্যপাল। পরে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে যান বোস। সেখানে ধৃত তৃণমূল নেতা তাপস দাসের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE