E-Paper

রাজধানীতে সৌরভ জেলার তুলসিভোগের

কোচবিহারে তুলসিভোগ ও ব্ল্যাক রাইস বিখ্যাত তার গন্ধের জন্য। দুটি চালই সুস্বাদু। পায়েস জাতীয় খাবার ওই চাল থেকে ভাল হয়।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩২
দিল্লিতে ফুড ফেয়ার।

দিল্লিতে ফুড ফেয়ার। —নিজস্ব চিত্র।

কোথাও ভিয়েতনামের খাবার, কোথাও মালয়েশিয়ার। আর তার পাশেই জায়গা করে নিয়েছে কোচবিহারের তুলসিভোগ চাল, সঙ্গে ‘ব্ল্যাক রাইস’। যে দুই চালের গন্ধে বুঁদ হয়ে রইল দিল্লি।

শুক্রবার থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফেয়ার’। উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই ডাক পেয়েছে কোচবিহারের দুটি ‘ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানি’ (এফপিসি)। যারা নিজেদের উৎপাদিত নানা দ্রব্য নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছে। নয়াদিল্লি থেকে ফোনে ওই দুটি এফপিসি'র সদস্য সৈকত সরকার, বিপ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, ‘‘আমরা আপ্লুত! এমন অনুষ্ঠানে কখনও আসতে পারব বলে ভাবিনি! ভারতীয় কৃষি মন্ত্রকের তরফে ডাক পাই। দেশ-বিদেশের নানা জায়গা থেকে খাবারের পসরা নিয়ে এখানে হাজির হয়েছেন মানুষ। আমাদের নিয়ে আসা জিনিসপত্র পছন্দও করছেন অনেকে।’’

কোচবিহারে তুলসিভোগ ও ব্ল্যাক রাইস বিখ্যাত তার গন্ধের জন্য। দুটি চালই সুস্বাদু। পায়েস জাতীয় খাবার ওই চাল থেকে ভাল হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ‘ফুড ফেয়ারে’ ডাক পেয়ে প্রথমেই ওই দুই চাল নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছে ‘এফপিসি’ দু’টি। সেই সঙ্গেই অবশ্য তারা মধু, পাটের ব্যাগ, মিলেট রাইস (কাওনের চাল, কোদো), মিলেট আটা, ঢেঁকিছাটা চাল, মাশরুমের পাঁপড়, মাশরুমের আচার, মাশরুমের বড়ি নিয়ে হাজির হয়েছে। কোচবিহারে এখন ভাল পরিমাণেই মাশরুম উৎপাদন হচ্ছে। যা ভুটানের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনের পরে, মিলেট নিয়েও উদ্যোগ শুরু হয়েছে জেলায়। জেলা স্তরে একটি ফার্মার্স ক্লাবের উদ্যোগে মিলেট মেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে নানা ধরনের মিলেটের খাবারের মেনু ছিল। এ ছাড়া, একটি ‘এফপিসি’ ‘ঢেঁকিছাটা চাল’ তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছে।

দিল্লিতে ওই দুই ‘এফপিসি’র ডাক পাওয়ার পেছনে কোচবিহারের একটি ফার্মার্স ক্লাবের ভূমিকা রয়েছে। তার সম্পাদক অমল রায় জানান, কৃষকেরা যাতে নিজেদের উৎপাদিত ফসলের খাবার তৈরি করে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্যই মূলত ‘এফপিসি’ তৈরি করছে সরকার। ওই দু’টি এফপিসির মধ্যে একটি দিনহাটার, অন্যটি
কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের। অমল বলেন, ‘‘দু’টি সংস্থাই তাদের কাজে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। সে জন্যেই তারা দিল্লির ফুড ফেয়ারে ডাক পেয়েছে।’’ দিল্লি থেকে সৈকত বলেছেন, ‘‘ফুড ফেয়ারে দেশের বিভিন্ন খাবার তো বটেই, বিদেশেরও নানা খাবার বিক্রি হচ্ছে। এমন ফুড ফেয়ারে কোচবিহারের খাবার নিয়ে আমরা হাজির থাকতে পেরে গর্বিত বোধ করছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

new delhi Cooch Behar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy