জমায়েত: কলেজে ভর্তি হতে অনলাইন আবেদনের জন্য দোকানে ভিড়। ইংরেজবাজারের রাজমহল রোডে মঙ্গলবার। ছবি: স্বরূপ সাহা
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে। মালদহ কলেজের সামনে রাস্তার ধারে কম্পিউটারের দোকানে স্নাতকে ভর্তির জন্য ফর্মফিলাপে ব্যস্ত তিন ছাত্রী। কলেজের সামনে কেন, প্রশ্ন শুনেই মুখ তুলে তাকালেন ইংরেজবাজারের মহদিপুরের বাসিন্দা রীতা মণ্ডল। তিনি বলেন, “গ্রামে নেট পরিষেবা ভাল না থাকায় সোমবার ফর্ম ফিলআপ করতে পারিনি। তাই বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে শহরে এসেই অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ করতে হচ্ছে।”
অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ হলেও করোনা-আবহে রীতার মতো শহর এলাকায় ছুটে আসতে হচ্ছে মালদহের গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের। তাতেই শহরের কাফে কিংবা কম্পিউটারের দোকানগুলিতে উধাও হচ্ছে পারস্পরিক দূরত্ব। এমনকি, মাস্ক ছাড়াই ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। ইংরেজবাজারের বিশ্বনাথ মোড়ের বাসিন্দা প্রিয়া দাস বলেন, “আমাদের সুবিধার জন্য অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তবে বেহাল নেট পরিষেবার জন্য আমাদের ছুটে আসতে হচ্ছে শহরেই।” পাকুয়ার বাসিন্দা সুমন সরকার বলেন, “ফর্ম ফিল আপে ত্রুটি থাকলে স্নাতকে ভর্তি আটকে যাবে। ঝুঁকি এড়াতে শহরের কাফেতে আসতে হচ্ছে।” কম্পিউটার দোকানের এক কর্মী বলেন, “পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে মাস্কও পরতে বলা হচ্ছে।”
সোমবার থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে স্নাতকে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, প্রথম দিনে মালদহের ১১টি কলেজ প্রায় হাজার খানেক আবেদন জমা পড়েছে। ২০ অগস্ট পর্যন্ত চলবে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া।
চলতি মাসের শেষে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, “ভর্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy