প্রতীকী ছবি।
দু’দিনের মাথায় তুফানগঞ্জে মাধ্যমিকের হারিয়ে যাওয়া ৭৩টি ইংরেজির উত্তরপত্রের হদিশ মিলল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালের খাতা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে খাতাগুলি পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই খাতাগুলি পুলিশের হেফাজত থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা দফতরে পাঠানো হবে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। তবে যে শিক্ষকের কাছ থেকে ওই খাতাগুলি হারিয়ে যায়, সেই উৎপল দামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জেলা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুলিশ এ দিন জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে দিনহাটায় প্রধান পরীক্ষকের কাছে ওই উত্তরপত্রগুলি জমা দিতে যাচ্ছিলেন উৎপলবাবু। অভিযোগ, রাস্তায় খাতাগুলি কোনও ভাবে পড়ে যায়। শুক্রবার বিকেলেই তিনি পুলিশে জেনারেল ডায়েরি করেন। এরপর শনিবার দুপুর থেকেই দেওচড়াই, নাককাটিগছ এবং তুফানগঞ্জ শহর এলাকায় ওই খাতাগুলির সন্ধান পেতে মাইকে প্রচার চালায় পুলিশ। এরপর দেওচড়াইয়ের নেপালের খাতা গ্রামে জনৈক দুর্জয় রায়ের বাড়িতে ওই খাতাগুলি আছে বলে এ দিন সকালে পুলিশের কাছে খবর আসে। পুলিশকর্তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক উৎপলবাবুকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। সেখানেই উৎপলবাবু খাতাগুলি দেখে চিহ্নিত করেন। এরপর ওই ৭৩টি খাতা তুফানগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেগুলি পুলিশের হেফাজতে। দুর্জয় রায়কেও থানায় নিয়ে গিয়ে এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে দুর্জয়বাবু জানান, গত শুক্রবার তাঁর বাড়িতে এক আত্মীয় অসম থেকে আসেন। ওইদিন সন্ধেয় যাওয়ার সময় দেওচড়াইয়ের রাস্তায় খাতাগুলি পড়ে থাকতে দেখে তিনি সেগুলি তুলে নিয়ে গিয়ে দুর্জয়বাবুকে দেখান। দুর্জয়বাবু খাতাগুলি নিজের বাড়িতেই রেখে দেন। শনিবার বিকেলে তিনি পুলিশের প্রচারের কথা জানতে পারেন এবং এ দিন পুলিশের কাছে খবর পাঠান।
খাতা উদ্ধারের ঘটনায় স্বস্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কোচবিহারের প্রতিনিধি মিঠুন বৈশ্য বলেন, ‘‘জানতে পেরেছি দেওচড়াই এলাকার নেপালের খাতা গ্রামে দুর্জয় রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ শিক্ষক উৎপল দামকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে খাতা উদ্ধার করেছে। পর্ষদের লোকের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খাতা হস্তান্তর করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ মিঠুনবাবু এও জানান, পর্ষদের নিয়ম মেনে উৎপলবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, উৎপলবাবু বলেন, ‘‘খাতাগুলো উদ্ধার হওয়ায় নিশ্চিন্ত হয়েছি।’’
কোচবিহার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর জানান তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ অতি দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে, সাফল্যও এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy