কয়েক দিন ধরে স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি-ও করেছেন। অবশেষে স্ত্রীর খোঁজ যখন পেলেন, তখন ভীষণ মনখারাপ তৃণমূল কর্মীর। কারণ, স্ত্রী নাকি প্রেম করছেন এলাকার বিজেপি নেতার সঙ্গে। সেই বিজেপি নেতাও বিবাহিত। ছোট্ট শিশুকে নিয়ে কেঁদেকেটে গলা ভেঙে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী। দুই পরিবার খবর পেয়েছে, বিজেপি নেতা এবং তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী এখন একটি জায়গায় একত্রে রয়েছেন। মুখে মুখে এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। একে অপরকে কটাক্ষ করছেন দুই দলের স্থানীয় নেতারা। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না কেউ।
কয়েক বছর আগে তৃণমূল কর্মী শতদল রায়ের সঙ্গে (নাম পরিবর্তিত) জবা রায়ের (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে হয়। দম্পতির দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। অন্য দিকে, বিজেপি নেতা কমল দাসও এক সন্তানের বাবা। এখন জবা ও কমলের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ‘অসুবিধায়’ দুই পরিবার। মেয়ে এমন ‘কাজ’ কী ভাবে করতে পারলেন, বার বার সেই প্রশ্ন নিজেকেই করে চলেছেন জবার মা। আর জবার স্বামী, তৃণমূল কর্মী তো সব জেনে হতবাক। তিনি জানান, স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। এখন জানতে পেরেছেন স্ত্রী বিজেপি নেতার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন! হতভম্ব এবং অপমানিত ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘এটা বিশ্বাসঘাতকতা। ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল আমাদের। সেখান থেকে প্রেম এবং বিয়ে। বাড়িতে দুটো ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে। এটা কী করল ও!’’
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়। সেখানে যাতায়াতের সূত্রে বিজেপি নেতার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর আলাপ। কিন্তু কবে থেকে দু’জনে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি জবার স্বামী কিংবা কমলের স্ত্রী। এখন বিড়ম্বনায় দুই পরিবারই।
পান থেকে চুন খসলে এলাকায় শাসক-বিরোধীর তরজা শুরু হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না তৃণমূল বা বিজেপির কেউ। তবে দলের অন্দরে দুই শিবিরের নেতা বলছেন, কাজটা ঠিক হয়নি।