বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
আলাদা রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পৃথক রাজ্য নয়, বাংলার মধ্যে থেকেই সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসনের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিল তারা। দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন মোর্চার নেতা রোশন গিরি।
রোশন-সহ মোর্চার তিন নেতা মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন সোমবার। পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নে জিটিএ-এর ব্যর্থতার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে বোর্ডের স্বায়ত্তশাসনের প্রসঙ্গ তুলেছেন মোর্চার নেতারা। রোশন পরে বলেন, ‘‘সরকার দ্রুত জিটিএ নির্বাচন চাইছে। কিন্তু আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি, জিটিএ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই ভোটের আগে সেখানে কিছু রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন আছে।’’
রোশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাজনৈতিক সমাধান বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন। জবাবে মোর্চার ওই নেতা বলেন, ‘‘সমাধান বলতে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মাননীয়া আমাদের সব কথা শুনেছেন। উনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে একটি খসড়াও চেয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল কালিম্পঙে দলের একটি বৈঠক রয়েছে। তার পর ৩ এপ্রিল রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সবটা জানাব আমরা।’’
দু’-তিন মাসের মধ্যে জিটিএ নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে পাহাড়ে চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সকলেই চাইছে দ্রুত নির্বাচন হোক। চেষ্টা করছি যাতে আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করা যায়।’’
মোর্চার বক্তব্য প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘রোশনের দলের কিছু বক্তব্য রয়েছে। বাকি অনীত থাপার দল বা তৃণমূল সকলেই জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে।’’
প্রসঙ্গত, রোশনের সঙ্গে বৈঠকের আগেই অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনীত বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগে থেকেই জিটিএ নির্বাচনের কথা বলছিলাম। জিটিএ-র নির্বাচন ঘোষণার হওয়ার পর দল ঠিক করবে আমরা কী ভাবে লড়ব।’’
হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ‘‘পাহাড়ের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি পাশে থাকবেন। রাজ্যের সহযোগিতা মিলবে। জিটিএ নির্বাচন, পঞ্চায়েত এবং বাকি পুরসভার নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে। নতুন দল হলেও আমরা বিগত দিনে প্রতিটি নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেছি। আগামী দিনেও করব।’’
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলেন, ‘‘অজয় নতুন কিছু উন্নয়নমূলক প্রস্তাব দিয়েছে। আমি জানিয়েছি যা পাহাড়ের জন্য ভাল, তা করতে হবে। রাজ্যের সব রকম সহযোগিতা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy