ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে— এমন সন্দেহে আরও এক জনকে শনিবার ভর্তি করানো হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইসোলেশন (আইডি) ওয়ার্ডে। তাঁর নাম সৌভিক দাস। বাড়ি জলপাইগুড়িতে। শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বহির্বিভাগে সর্দি, জ্বর নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁকে আইডিতে ভর্তি করানো হয়। সম্প্রতি তিনি তাইল্যান্ডে গিয়ে ছিলেন। কয়েক দিন আগে তাইল্যান্ড থেকে ফেরেন। উপসর্গ না থাকায় কলকাতা বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কিছু ধরা পড়েনি। বাড়ি ফিরে সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তিত হন তিনি ও পরিবারের লোকেরা।
এ দিন হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘সর্দি, জ্বর হওয়ায় এবং সম্প্রতি তাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন বলে তাঁকে আইডি-তে ভর্তি করানো হয়েছে। নিয়মমাফিক তাঁর সোয়াব এবং সুষুম্নারস পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হবে।’’
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একই কারণে বৃহস্পতিবার ভর্তি বাগডোগরার রানিডাঙা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বণিককে এ দিন ছুটি দেওয়া হল আইডি থেকে। কেন না, তাঁর সোয়াব রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সৌভিকের সোয়াব শনিবারই পাঠানো নিয়ে সমস্যা হয়। তার পরে রবিবার ছুটির দিন। তাই সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইডি-তে সর্দি, জ্বরের রোগী সব মিলিয়ে চার জনকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ হতে পারে সন্দেহে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে তিন জনেরই কিছু পাওয়া যায়নি। শুক্রবার হংকং ফেরত এক ব্যক্তির সর্দি, জ্বর হয়েছে শুনে প্রথমে তাঁকে আইডি-তে ভর্তি করানোর কথা হয়। পরে দেখা যায় তিনি নেপাল থেকে ফিরেছেন। তবে উপসর্গ নিয়ে তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি নিজেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এসেছিলেন। পরে তাঁকে আইডি-র পরিবর্তে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ দিন তাঁকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে সুপার জানান।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গিয়েছে, ভারত-নেপাল সীমান্তে হেল্থ চেকপোস্ট চলছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরেও যাত্রীদের প্রয়োজন মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হচ্ছে। তবে এখনও করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কাউকে বিমানবন্দর বা সীমান্ত থেকে হাসপাতালে আনা হয়নি। যদিও সে জন্য নজরদারি কমছে না বলেই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy