সুরক্ষা: মিলেছে বাস চালানোর অনুমতি। তারই প্রস্তুতি আলিপুরদুয়ার এনবিএসটিসি ডিপোয়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
ছাড় পেলেও বাস পথে নামাবেন না অধিকাংশ বাসমালিক। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেও বাস চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে খুশি নন বাস মালিকরা। বাসমালিকদের বড় অংশের বক্তব্য, ‘‘অনেক দিন বাস বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির খরচ অনেক বেড়েছে। ভাড়া না বাড়ানো হলে এখন বাস চালানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।’’ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির কোচবিহার জেলার সহ-সম্পাদক তপন গুহ রায় বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে বাস চালানো খুব কঠিন। আমরা আমাদের সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি। তাঁরা যেমন সিদ্ধান্ত দেবেন সেই হিসেবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কোচবিহার জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা অনুপ অধিকারী স্পষ্ট ভাবেই জানান, ভাড়া না বাড়ালে তাঁদের পক্ষে বাস চালানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সংগঠনের তরফ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কাউকে বলিনি। এটা প্রত্যেকের নিজস্ব বিষয়। কোনও মালিক যদি বাস নামাতে চান নামাবেন। কেউ যদি না নামাতে চান, নামবেন না।’’
কোভিড পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘসময় বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তাতে চালক থেকে বাসকর্মী প্রত্যেককেই বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তার উপরে জ্বালানির খরচ ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে ১ জুলাই থেকে বাস চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে পারে। বাস মালিকদের দাবি, ওই যাত্রীতে বাস চালানোর খরচ
উঠে আসবে না। এক বাস মালিক জানান বলেন, ‘‘ পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’’
বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন ‘নর্থ বেঙ্গল মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের’ আলিপুরদুয়ারের চেয়ারম্যান সুপ্রিয় আইচ বলেন, ‘‘বিধিনিষেধে একটু ছাড়ে রাস্তায় সেই সংখ্যায় যাত্রী পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার মালিকদের সবাই রাস্তায় বাস নামাবেন বলে মনে হয় না।’’
আলিপুরদুয়ারের আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তা প্রবীণ লামা বলেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy