শিলিগুড়ি পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে রাস্তাঘাট যে খুব একটা খারাপ, তা আমি বলব না। তবে প্রশ্ন আছে। পাশের ফুটপাথের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে। হেঁটে চলাফেরা করার নূন্যতম জায়গা নেই। সবটাই দখলদারদের হাতে। রাস্তাঘাটের সব থেকে বড় সমস্যা পার্কিং স্পেস। মূল শহরে বা ফ্লাইওভার থেকে হিলকার্ট রোড পর্যন্ত যেতে হলেই কালঘাম ছুটে যায়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আজ শহরটি স্তব্ধ হতে চলেছে। রাস্তাঘাট হয়তো ঠিকই থাকছে কিন্তু সেখানে অযাচিত ভাবে ভিড় জমাচ্ছে টোটো থেকে অটো, যা শহরের গতি থামিয়ে দিচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের তর্জার ফলে প্রশাসনেরও হাত বন্ধ।
আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একেবারেই নেই। তা ছাড়া শহরে যে মূল বাজার এলাকাগুলো রয়েছে সেখানেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্ররায় নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র পুরসভার দফতর থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই হয় না, তা বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজন নজরদারির। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র রাস্তাঘাটে নয়, দৃশ্য দূষণ বড় সমস্যা। যত্রতত্র হোর্ডিং টাঙানোর ফলে শহরের এই মুহূর্তে ভাল কোনও ছবি নেই।
আগের তুলনা জলের পরিষেবা অনেকটাই ভাল।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সঠিক নিকাশি ব্যাবস্থা নিয়ে ভাববার দরকার রয়েছে আগামী নির্বাচিত বোর্ডের। বর্ষাকালে শহরের অধিকাংশ রাস্তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলমগ্ন হয়ে থাকে। বেশ কিছু এলাকায় মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যায় রাতভর বৃষ্টির ফলে।
শহর শিলিগুড়িতে এই মুহূর্তে আলোর কোনও সমস্যা নেই। বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত আলো রয়েছে।
শহরকে বাঁচাতে খুব তাড়াতাড়ি তার আয়তন বাড়ানোর প্রয়োজন। মডেল শহর তৈরি করা সহজ কথা নয় ঠিকই, কিন্তু শহর যাতে তার চলার শক্তি হারিয়ে না ফেলে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিহ্নিত করতে সঠিক পার্কিং। রাজপথে বা শহরের অন্যান্য জায়গায় কমাতে হবে টোটো-অটো। সব থেকে জরুরি— বিভিন্ন বোরো অফিসের মতো প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পাশাপাশি পুরসভার এক জন কর্মী নিযুক্ত করা প্রয়োজন। যাঁকে অঞ্চলের সমস্যার কথা নির্ভয়ে বলা যায়। শহরকে চালাতে গেলে শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আন্দোলন বা পুরসভার কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তা করা— এমনটা বেশি দিন চলে না। নির্দিষ্ট দফতরকে তার সঠিক দায়িত্ব মেনে কাজ করতে হবে, প্রতিনিয়ত যার অভাব রয়েছে বেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy