—ফাইল চিত্র।
পুজোর সময় জমা জঞ্জাল থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়। দ্রুত তা পরিষ্কার করা হোক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নিউটাউন ক্লাবকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছিল বালুরঘাট পুরসভা। কিন্তু এখনও পরিষ্কার হল না সেই ক্লাবের মাঠ! এখনও মাঠে পড়ে রয়েছে মণ্ডপের কাপড়, বাঁশ। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের টুকরো।
যদিও ক্লাব কর্তাদের বক্তব্য, পুজোর সময় জমা জঞ্জাল প্রতিদিনই নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এখনও আর সে ভাবে কোথাও জঞ্জাল পড়ে নেই। আর মাঠে যে সব পুজোর সামগ্রী পড়ে রয়েছে, তা-ও প্রতি দিন ডেকরেটর্সের লোকজন এসে নিয়ে যাচ্ছেন। তার পরেও কেন চিঠি ধরানো হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন ক্লাব কর্তারা।
বালুরঘাট পুরসভার পাওয়ার হাউস এলাকায় ধুমধাম করে পুজো করেছে নিউ টাউন ক্লাব। এই ক্লাবের সভাপতি সুকান্ত। ক্লাবের পুজো মণ্ডপ এ বছর বিশাল করা হয়েছিল। পুজোর পর প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে তা ভাঙার কাজ চলেছে। অভিযোগ, অসাবধানে তা করতে গিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য থার্মোকলের টুকরো। মণ্ডপ এবং রোজকার বাজার চত্বর লাগোয়া মালদহ-বালুরঘাট জাতীয় সড়ক। থার্মোকলের টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে শহরের অন্যত্রও। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েছে পুরসভা।
তা নিয়ে অবশ্য সুকান্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে ওই ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, দ্রুত জঞ্জাল পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। অভিযোগ, সেই মাঠ যে অবস্থায় ছিল, তেমনই রয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার বক্তব্য, ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা নজরে রেখেই দ্রুত এলাকায় পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। ক্লাব যদি নিজে তা করতে না পারে, পুরসভা সাহায্য করতে প্রস্তুত। বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর পরেও ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে। যে কারণে জঞ্জাল সাফাই নিয়ে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। পুরসভার অন্তর্গত যত জায়গায় পুজো হয়েছে, সব জায়গাতেই স্থানীয় কাউন্সিলর মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব জঞ্জাল পরিষ্কার করার। যদি ক্লাব কর্তৃপক্ষ একক ভাবে পরিষ্কার করে উঠতে না পারে, তারা পুরসভাকে আবেদন করলে পুরসভা তাদের সহযোগিতা করবে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে।’’ পুরসভার এ-ও বক্তব্য, শুধু নিউ টাউন ক্লাব নয়, সমস্ত পুজো ক্লাবকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ক্লাব সম্পাদক অরিজিৎ মহন্ত বলেন, ‘‘নিউ টাউন ক্লাব প্রতিবছরই পুজো শেষ হওয়ার পর এলাকা দ্রুত পরিষ্কার করে দেয়। তার কারণ, এই মাঠেই একটা বাজার বসে। সেই কারণে বেশি দিন মাঠ ঘিরে রাখা সম্ভব হয় না। এ বারও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, দ্রুত মাঠকে পরিষ্কার করে দেওয়ার। কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তবে পুরসভা থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমরা আমাদের জঞ্জাল প্রতিদিন পরিষ্কার করি এবং যাতে এলাকায় কোনও রকম দূষণ না ছড়ায়, তা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy