মালদহ জেলা পরিষদের মেন্টর হলেন সাবিত্রী মিত্র, কো-মেন্টর নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার। বুধবার জেলায় ফিরতেই সকাল থেকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী। আজ, বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদে গিয়ে দায়িত্ব নেবেন বলে জানান তিনি। সাবিত্রী এবং চৈতালি, দু’জনেই তৃণমূলের পুরোনো ‘মুখ’ বলে দাবি নেতৃত্বের। বিধানসভা ভোটের মুখে জেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে পুরোনো মুখদের প্রাধান্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলে।
সাবিত্রী মিত্র মানিকচকের তৃণমূলের বিধায়ক। তিনি ২০১১-২০১৪ পর্যন্ত তৃণমূল জেলা সভাপতি ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল চৈতালি ঘোষ সরকার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা থেকে সদস্য। তাঁর স্বামী নিহত দুলাল সরকার ওরফে বাবলাও তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে জেলায় এসে চৈতালির সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈতালিকে তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যান করা হয়।
এ বার জেলা পরিষদেও সাবিত্রী, চৈতালিকে বসানো হল। সাবিত্রী মেন্টর এবং চৈতালিকে কো-মেন্টর করা হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বারবার প্রকাশ্যে আসে মালদহের নাম। এমনকি, ‘মালদহের ভোট বুঝি না’ বলে মন্তব্যও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, গত বিধানসভায় সাফল্য পেলেও লোকসভার দুটি আসনেই তৃণমূলের ভরাডুবি ঘটেছিল। এ বারের ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে তৎপর তৃণমূল শিবির। সাবিত্রী, চৈতালিদের মতো নেতৃত্বদের দল প্রথম সারিতে তুলে নিয়ে আসায় চর্চা শুরু হয়েছে। সাবিত্রী বলেন, “দল যখন যেমন দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সামলেছি। দল জেলা পরিষদের মেন্টর করেছে। জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে জেলার উন্নয়নে কাজ করব।” একই সুরে চৈতালি বলেন,“মানুষের উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
দল কী পুরোনো মুখদের গুরুত্ব দিচ্ছে? উত্তর দিতে চাননি সাবিত্রী ও চৈতালি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “দল সাবিত্রী মিত্র এবং চৈতালি ঘোষ সরকারকে জেলা পরিষদের দায়িত্ব দিয়েছে। দলে নেতাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মীরা।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)