জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে কাউন্সিলরদের নিয়ে হাজির মেয়র গৌতম দেব। — নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের জমির মিউটেশন ও হোল্ডিং ট্যাক্সের নথি তৈরি করে তা মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। শুক্রবার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী-সহ কাউন্সিলরদের নিয়ে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র গৌতম। তখনই সন্ন্যাসীদের হাতে পুরসভার যাবতীয় নথি তুলে দেন। মেয়র জানিয়েছেন, ওই জমিতে আর কোনও সমস্যা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুক্রবার তৃণমূলের ৩৭ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র। সেখানে আলাপচারিতা চলাকালীনই জমি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি মিশনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক মহারাজ শিবপ্রেমানন্দের হাতে তুলে দেন মেয়র। এর পর সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নিয়ে গোটা মিশন চত্বর ঘুরে দেখেন।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমরা ৩৭ জন কাউন্সিলরই এখানে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁদের হাতে তুলে দিলাম। মিশন কর্তৃপক্ষ মিউটেশনের জন্য খুব সম্প্রতি পুরনিগমের কাছে দরখাস্ত দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেরে নথি তাঁদের হাতে তুলে দিলাম। আগামী সময়ে যে কোনও ধরনের সাহায্যের জন্য পুরনিগম সব সময় মিশনের পাশে আছে।’’
রামকৃষ্ণ মিশন জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক শিবপ্রেমানন্দ বলেন, ‘‘মেয়র নিজে এসে আমাদের হাতে হোল্ডিং ট্যাক্স-সহ বেশ কিছু নথি তুলে দিলেন। ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে আরও কিছু নথি আসা বাকি আছে। আশা করছি, সেগুলি খুব তাড়াতাড়ি হাতে পেয়ে যাব। তবে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা হয়ত রামকৃষ্ণ মিশনের ইতিহাসে এই প্রথম। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আশ্রমে ঢুকে সন্ন্যাসীদের বার করে দেওয়া— এই ঘটনার পর আমরা কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হতে পারিনি। আশা করব, ভবিষ্যতে প্রশাসন আমাদের সুরক্ষা দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy