বিমানবন্দর: দাঁড়িয়েই রয়েছে সেসনা বিমানটি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
ফের কোচবিহার বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার। বুধবার রাতেই রাজ্য পুলিশের একটি দল বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। তা দেখেই খানিকটা সন্তুষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, অবশেষে ডানা মেলতে পারবে সেসনা। গত ২৭ জুলাই ৯ আসনের ওই বিমানে চেপে কোচবিহার বিমানবন্দরে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ওই রাতেই বিমানবন্দরের পুলিশি নিরাপত্তা এবং দমকল পরিষেবা তুলে নেয় রাজ্য সরকার। সেই থেকে বিমানটি দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমানবন্দরেই।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকরের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচবিহার বিমাবন্দরের ডিরেক্টর বিপ্লব মণ্ডল। পুলিশ সুপার ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বলেন, “এখন বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ রয়েছে। আমরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই পুরো নিরাপত্তা পাব। সেক্ষেত্রে বিমান ওঠানামাতেও সমস্যা থাকবে না।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৫ অগস্টের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য তথা জেলার সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। সেখানে কোচবিহার বিমানবন্দরের মতো একটি জায়গায় যেখানে একটি ছোট বিমান দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা না থাকলে বিপদ হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তিন অফিসার সহ ১৮ জনকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। যদিও সেখানে নিরাপত্তা থাকার কথা আরও বেশি।
বুধবার রাতেই রাজ্য পুলিশের একটি দল গিয়ে দায়িত্ব নেয় বিমানবন্দরটির। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
এর আগে ৪৬ জন পুলিশ কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল অ্যান্টি হাইজ্যাকিং টিম। সেই টিমকে দায়িত্ব না দেওয়া হলে বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক বলেন, “শুধু স্বাধীনতা দিবসের জন্য নয়, পুলিশের তরফ থেকে সব সময়ের জন্যে নিরাপত্তা বহাল রাখার ব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং টিমও দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আর সমস্যা থাকবে না।” বিমানবন্দরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পেলে দমকলের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে নেবে।
কোচবিহার বিমানবন্দরের নিরাপত্তার এবং দমকলের দায়িত্ব বরাবর রাজ্য সরকারের। অনথিভুক্ত বিমান চলাচল নিয়ে বিজেপি সাংসদ বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, ১ অগস্ট থেকে নিয়মিত কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করবে। সেই থেকেই সমস্যার শুরু। রাজ্য সরকার নিরাপত্তা ও দমকল পরিষেবা তুলে নেওয়ার পরে অবসরপ্রাপ্ত সুরক্ষাকর্মীদের উপরেই নির্ভরশীল হয়ে পরে বিমানবন্দর। ওই বিমানবন্দরে ৬ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী ছিলেন। পরে আরও ১৭ জনকে নিয়োগ করা হয়। পাহারার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মী বলেন, “দিনরাত এক করে পাহারা দিতে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে বিমান থাকায় সজাগ থাকতে হচ্ছে।” বিমানবন্দরের এক কর্মী বলেন, “অনেক সময়েই অসুস্থ মানুষকে নিয়ে যাতায়াতের জন্যেও অনেকে ছোট প্লেন ভাড়া করেন। দীর্ঘসময় ধরে এমন চলতে থাকলে বাসিন্দারাও অসুবিধেয় পরবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy