ছবি: সংগৃহীত।
বিসর্জনের শোভাযাত্রার যানজট নিয়ন্ত্রণে নামা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দিনহাটা চৌপথীতে। বিধায়কের দেহরক্ষী বিপুল সরকার অভিযোগ করেন, একদল যুবক বিধায়কের উপরে হামলা করতে গেলে তিনি বাধা দেন। সে সময় বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। দেহরক্ষীর রিভলভার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। তাঁর চোখেও ঘুসি মারা হয়। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে যুব তৃণমূলের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি অজয় রায় ও তাঁর ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ গণ্ডগোল করার অভিযোগে এক ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
উদয়নবাবু অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “রাতে অনেক ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাই যান নিয়ন্ত্রণে চৌপথীতে ছিলাম। সেই সময় আমার সিকিউরিটি গার্ডের উপরে হামলা হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন।” তাঁর উপরে হামলার বিষয় নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা অজয়বাবু অবশ্য দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি শহরেরই একটি পুজো কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিধায়কের উপরে অন্য দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চালক হামলা করতে গেলে তিনি বাধা দেন। সেই সময় আচমকা বিধায়কের সঙ্গে থাকা তাঁর সঙ্গীরা তাঁর ক্লাবের সদস্যদের মারধর শুরু করেন। এমনকি বিধায়কও তাঁদের দিকে তেড়ে যান বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “সমস্ত ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। সেখানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল। তা দেখলেই আসল ঘটনা জানা যাবে। আসলে আমরা পুরনো তৃণমূল কর্মী। রাজনৈতিক ভাবে আমাদের কোণঠাসা করতেই ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”
বিধায়কের দেহরক্ষী বিপুলবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, দিনহাটার ওই এলাকা আসলে পাঁচ মাথার মোড়। চারদিক থেকে চারটি রাস্তা ধরে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা এসেছে। ওই মোড় থেকে একটি রাস্তা দিনহাটা রোড ধরে তাঁরা থানা দিঘির দিকে গিয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শোভাযাত্রার গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল। বিধায়কের সঙ্গে তিনিও সেখানে ছিলেন। পুলিশ ও সিভিক কর্মীরাও সেখানে ছিলেন। একটি ক্লাব নিয়ম ভেঙে ভিতরে ঢুকে গেলে যানজট তৈরি হয়। তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তিনি বলেন, “ওই সময় কিছু যুবক বিধায়কের উপরে হামলার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিই। সেই সময় তাঁরা আমার উপরে হামলা করে। আমি যাদের চিনেছি তাঁদের নামে অভিযোগ করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy