ছবি: সংগৃহীত
দলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই, তা বোঝাতে শিক্ষা কনভেনশেনের মঞ্চে হাজির হলেন জেলার সব নেতারাই। শনিবার দিনহাটার নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি সদনে বিধায়ক উদয়ন গুহের ডাকে শিক্ষা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। যে কনভেনশনে মূলত ডাকা হয় হাইস্কুলের শিক্ষকদের।
দলের অন্দরে অভিযোগ ওঠে, দলের শিক্ষক সংগঠনকে কোনওরকম গুরুত্ব না দিয়ে উদয়নবাবু ওই কনভেনশনের ডাক দেয়। দলীয় সূত্রের খবর, তা নিয়ে শিক্ষক সংগঠনের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় উদয়নবাবুর। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দুজনকেই সতর্ক করেন যাতে বিরোধ না বাড়ে।
এ দিন রবীন্দ্রনাথবাবুর পাশে বিধায়ক ও সাংসদ একসঙ্গে হাজির থেকে দ্বন্দ্ব যে তাঁদের মধ্যে নেই, সে বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য কোনও বিরোধের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “বাম আমলে শিক্ষার যে হাল হয়েছিল তা আর এখন নেই। পশ্চিমবঙ্গ দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা তাঁর সুফল পাচ্ছে।
কোচবিহারে একাধিক উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে।” সে সব কথাই তুলে ধরতেই কনভেনশন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উদয়নবাবুর গলাতেই অনেকটা একই সুর ছিল। তিনি শিক্ষার অগ্রগতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী করেছে তার তালিকা তুলে ধরেন। বিজেপির সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, “দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।” সাংসদ পার্থবাবু বলেন, “এমন কনভেনশনের মাধ্যমে আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। কোনও বিরোধের ব্যপার নেই। বিরোধীরা এসব বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।”
দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহারে শিক্ষক সংগঠনের দায়িত্বে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সাংসদ পার্থবাবু। জেলা তো বটেই সমস্ত বিধানসভা ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারাই।
এ বারেই দিনহাটায় দেখা যায় উদয়নবাবু শিক্ষকদের নিয়ে কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন। অভিযোগ ওঠে, দিনহাটায় শাখা থেকে মূল সংগঠনে উদয়নবাবুই যে শেষকথা তা বোঝাতেই ওই কনভনেশনের ডাক দেন তিনি। বিজেপির নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। মঞ্চে যতই একতা দেখানোর নাটক করুক না কেন বাস্তবে তা নেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের সামনে আসবে সব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy