Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ের টোপ দেখিয়ে ধর্ষণ, ধৃত কনস্টেবল

বিয়ের টোপ দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করে কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার উদয়পুর এলাকায় রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের ধারে। ধৃতের নাম নীল রায়। বাড়ি উত্তর দিনাজরপুরের কালিয়াগঞ্জের গোয়ালাগাঁও এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২২
Share: Save:

বিয়ের টোপ দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করে কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার উদয়পুর এলাকায় রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের ধারে। ধৃতের নাম নীল রায়। বাড়ি উত্তর দিনাজরপুরের কালিয়াগঞ্জের গোয়ালাগাঁও এলাকায়। সে কলকাতা পুলিশের পাতিপুকুর রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিল। সোমবার ধৃতকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ময়ূখ মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন নাকচ করে ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ৩৭৬ ও ৪১৭ ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।”

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর একুশের ওই তরুণীর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার খাদিমপুর এলাকায়। দূর সম্পর্কের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে নীলের সঙ্গে ওই তরুণীর দীর্ঘদিনের পরিচয়। প্রায় দু’মাস আগে অভিযুক্ত ওই যুবক কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের পদে চাকরি পান। ওই তরুণীর দাবি, চাকরি পাওয়ার পর নীল তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নীলের সঙ্গে ওই তরুণী নিয়মিত ফোনে কথাও বলতেন। কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরে নীল। রবিবার দুপুরে নীল তাঁর সঙ্গে কর্ণজোড়া এলাকায় দেখা করে। অটো ও রিকশায় চেপে তাঁরা রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকার দোকানে গিয়ে পুজোর পোশাক কেনাকাটা করেন। তরুণীর অভিযোগ, ওই দিন বিকেলে নীল তাঁকে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাস লাগোয়া একটি পার্কের পাশের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাঁকে উদয়পুর এলাকায় ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, ওই তরুণী অভিযুক্তকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে তিনি তাঁকে একা বাড়ি চলে যেতে বলেন। তরুণীকে বিয়ে করবে না বলেও ওই যুবক তরুণীকে জানিয়ে দেয়। তরুণী প্রতিবাদ করলে দু’জনের গোলমাল বাধে। বাসিন্দারা বিষয়টি আঁচ করে তাদের আটকে পুলিশে খবর দেন। নীল বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ করেন। নীলের দাবি, “আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আশা করি আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

wedding plan rape constable raiganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE