এ বার বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
একে একে সব জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ বার বিধানসভায় তাঁর ঘরে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা। সঙ্গে খুলে নেওয়া হল নেমপ্লেট। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের পাশের ঘরটি বরাদ্দ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিধানসভায় এই ঘরটি দেওয়া হয় পার্থকে। সেখানে বসেই শিল্প, শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে কাজ সামলাতেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সব চেয়ে বড় ঘরটি বরাদ্দ হয়েছিল পার্থের জন্যেই। কিন্তু, সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের পর ওই ঘরের দেওয়াল থেকে পার্থের নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরটিতে তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বিধানসভায় ওই ঘরটির কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। স্পিকার বিমান বলেন, ‘‘যত দিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত দিন ওই ঘরটি বন্ধ থাকবে। বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরটি লক করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আপাতত কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তদন্ত যত ক্ষণ না শেষ হচ্ছে, আপাতত সেখানে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। পাশাপাশি, কাউকে আলাদা করে বণ্টন করা হবে না।’’
বিধানসভা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের তরফেই তালা লাগানো হয়েছে পার্থের ঘরে। প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই বেহালা পশ্চিমের বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারপর টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ায় তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন। সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেন্ড করেছেন পার্থকে। ওই দিনই নবান্নে তাঁর ঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নেমপ্লেট। একই সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের শিল্প সদন ও সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি দফতর থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে পার্থের নেমপ্লেট। এ বার বিধানসভাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy