প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচার করতে না চাওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। শেষ পর্যন্ত নার্সিংহোমের বদলে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি হলেন রোগী। ঘটনাটি নিয়ে বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ করেছেন তিনি। সিএমওএইচ (বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলা) শ্যামল সরেন বলেন, “এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বদলে নগদে চিকিৎসার খরচ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ গরাই সারেঙ্গার বাসিন্দা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন। শুক্রবার বাঁকুড়ায় এসে এক চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসক তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়ে শহরের কেন্দুয়াডিহির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হতে বলেন। ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পরে বিশ্বজিৎবাবু চিকিৎসককে জানান, অস্ত্রোপচারের খরচ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মেটাবেন। অভিযোগ, চিকিৎসক তাতে রাজি হননি।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “ওই ডাক্তার আমাকে সাফ জানিয়ে দেন, অস্ত্রোপচারের খরচ তাঁকে নগদে মেটাতে হবে। কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে তিনি টাকা নেবেন না। অত টাকা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি হই।” স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করার পাশাপাশি, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তীকেও বিষয়টি জানান বিশ্বজিৎবাবু। অরূপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দরিদ্র মানুষের উপকারের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। অথচ, এক শ্রেণির অসাধু ডাক্তার ও নার্সিংহোমের মালিকের জন্য অনেকেই সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যদফতর ও জেলা প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি।”
ওই চিকিৎসক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ দিন ফোনে তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রোগীদের কাছ থেকে বিল কী ভাবে নেওয়া হবে, সেটা নার্সিংহোমের বিষয়। ডাক্তারদের এতে কোনও ভূমিকা থাকে না। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।” এ দিন চেষ্টা করেও ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ
করা যায়নি।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বাঁকুড়ার বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি হতে গিয়ে সমস্যায় পড়ার অভিযোগ আগেও উঠেছে। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের সরাসরি ফিরিয়ে না দিয়ে নানা নথিপত্র জমা করানোর নামে হয়রান করার অভিযোগও উঠেছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামলবাবু বলেন, “আগেও কয়েকটি অভিযোগ আমরা পেয়েছিলাম। নার্সিংহোমের মালিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছি, কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসা রোগীদের ফেরানো যাবে না। অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy