Advertisement
১৭ মে ২০২৪
BJP

‘সমীক্ষক দলের পিছনে তৃণমূল নেতাদের দেখলে বেঁধে রাখুন’, বিতর্কে বিজেপির অমরনাথ

তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বিধায়কের ওই বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

অমরনাথ শাখা।

অমরনাথ শাখা। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৮
Share: Save:

তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। আবাস যোজনার সমীক্ষকদের পিছনে তৃণমূল নেতাদের ঘোরাফেরা করতে দেখলে তাঁদের বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছেন অমরনাথ। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অমরনাথের ওই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বিধায়কের ওই বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব।

শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের দলদলি গ্রামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন অমরনাথ। সেই বৈঠকে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইসিডিএস কর্মী এবং সরকারি কর্মীরা যেখানে সমীক্ষা করছেন সেখানে তৃণমূল নেতাদের ঘোরাফেরা করতে দেখলে দড়ি দিয়ে তাঁদের গাছে বেঁধে রাখবেন। রাজ্যবাসীর কাছে আমার অনুরোধ। যদি আপনারা তাঁদের গাছে বেঁধে রাখেন তা হলে দেখবেন প্রকৃত প্রাপকরা ওই যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন। আর যাঁরা প্রাপক নন তাঁরা বাড়ি পাবেন না।’’ পরে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের অমরনাথ নির্দেশ দেন, ‘‘আপনারা গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখুন। চাকরি এবং বাড়ি থাকা সত্বেও কে কে বাড়ি পাচ্ছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে আমাদের হাতে দিন। তার পর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’

অমরনাথের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘পাগলের প্রলাপ বকছেন ওই বিধায়ক। তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই এমন কথা বলছেন। তৃণমূল চায় গরিব মানুষ যেন আবাস যোজনায় বাড়ি পান। সে জন্যই রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Awas Yojna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE