তখনও চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে রিপোর্ট এসেছিল করোনা-পজেটিভ। তখন নলহাটি ২ ব্লকের এক যুবককে বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরপর দু’বার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছনোর সময় সেই যুবককে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পরে অবশ্য তাঁকে পুলিশ, প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীর প্রশ্ন, কিছু দিন আগেই ওই যুবককে করোনা আক্রান্ত বলে গ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কয়েক দিনের মধ্যে কী ভাবে ওই যুবক সুস্থ হয়ে যেতে পারেন? পরিস্থিতি সামাল দিতে নলহাটি পুলিশ গ্রামে ঢুকলে
বিক্ষোভ শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের নাম শুনলে অন্য গ্রামের মানুষজন কোনও কাজ দিচ্ছেন না। গ্রামে মাইকে প্রচার করে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তা কেন জানানো হল না। তাই আমার বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’’
করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসা যুবক এ দিন ফোনে বলেন, ‘‘গ্রাম ঢোকার সময় কয়েক জন আমায় ঢুকতে দেবে না বলে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় গাড়িতে ভয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ, প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাড়ি ঢুকতে পেরেছি।’’ নোয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘‘ওই যুবকের রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় চিকিৎসকেরা বুঝেসুঝেই ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা গ্রামবাসীকে বিষয়টি বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি।’’
বিডিও (নলহাটি ২) হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির ফলে এই বিক্ষোভ। নলহাটি পুলিশ ও যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। যুবকটিকে বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy