প্রতীকী চিত্র।
অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিতে রাজি হয়নি বলে সিউড়ি থেকে কাঁকরতলায় বাসে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত প্রসূতি। সঙ্গে সদ্যোজাত কন্যাসন্তান, স্বামী ও পাড়ার এক মহিলাও ছিলেন। কিন্তু, যে দু’টি বাসে চেপে তাঁরা কাঁকরতলার কদমডাঙা ফেরেন বুধবার, তাতে প্রসূতির সংস্পর্শে যাত্রীদের খুঁজে বের করতেই ঘাম ছুটেছে পুলিশের।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত খয়রাশোল ব্লকের তিন থানার পুলিশ ৩২ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। কিন্তু বাকি যাত্রীরা কে কোথায় নেমেছেন, সেটা আজানা থেকে গিয়েছে। সেটাই নানা এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে ভূমিকা নেবে বলে আশঙ্কা।
অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত জেনেও ওই প্রসূতিকে কোভিড হাসপাতাল বা সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেনি সিউড়ি জেলা হাসপাতাল। যে অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল , করোনা আক্রান্ত শুনেই চালক তাঁদের নিতে চায়নি। নিরুপায় হয়ে বাসে করে ফিরতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া শুরু হতে বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই প্রসূতি, তাঁর স্বামী ও শিশুকন্যাকে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। উপসর্গহীন ওই প্রসূতি ও তাঁর সন্তান ভাল আছেন। তাঁর সঙ্গে সিউড়ি থেকে ফেরা পড়শি মহিলা এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কোয়রান্টিন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে ফেরার সময় প্রথমে লোকপুরগামী বাসে চড়ে খয়রাশোলে নামেন ওই প্রসূতি-সহ চার জন। পরে সেখান থেকে আসানসোল–বাবুইজোড় রুটের বাসে কদমডাঙায় নামেন। কাঁকরতলা থানা প্রস্তুত ছিল। ওই বাসের চালক খালাসি-সহ ২২ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের সকলকে এলাকার স্কুলে কোয়রান্টিন করেছে। অন্যদিকে খয়রাশোল ও লোকপুর থানা ১০ জন যাত্রীকে চিহ্নিত করেছে। সকলেরই লালারসের নমুনা নেওয়া হবে শুক্র ও শনিবার।
কিন্তু প্রশ্ন হল, সিউড়ি থেকে খয়রাশোল পর্যন্ত ৪০ কিমি রাস্তা পৌঁছনোর আগে সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানা এলাকার কোথায় কত যাত্রী নেমেছেন, তার কোনও তথ্য মেলেনি। উদ্বেগ সেখানেই। প্রায় ঘন্টা দুই ধরে এক কোভিড পজিটিভ রোগিণীর সঙ্গে এতটা পথ যাঁরা এলেন, তাঁদের চিহ্নিত কী ভাবে করা হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। কোন তরফে গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy