প্রতীকী ছবি
লকডাউন চলাকালীন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। শুরুর দিকে বাজারে বাজারে নজরদারিও চলছিল। কিন্তু তা কমতেই ফের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে জেলাজুড়ে। বোলপুরের মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘‘কোথাও কোনও ব্যবসায়ী যদি কালোবাজারি করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই চাল,ডাল থেকে শুরু করে আনাজ— নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিসের সবকিছুরই দাম একলাফে বেড়েছিল অনেকটাই। লকডাউন শুরু হওয়ার পর সেই কালোবাজারি রুখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের অভিযান চলে। মুদির দোকান, আনাজ বাজার, মাংসের দোকানে লাগাতার পুলিশের অভিযানের ফলে অনেকটাই কালোবাজারি আটকানো সম্ভব হয়েছিল। দামও কমেছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। কিন্তু আনাজ বাজার ও মুদিখানার দোকানগুলি থেকে পুলিশের নজরদারি উঠতেই সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুরের জেলার বেশ কিছু জায়গায় এখন ফের কালোবাজারি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
জেলার নানা এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, কোথাও কেজি প্রতি চাল ও ডালের দাম নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেশি, কোথাও আবার কেজিপ্রতি চাল ও ডালের দাম নেওয়া হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ২০ টাকা বেশি দরে। আনাজ বাজারেও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। কোথাও আলু কেজি প্রতি ১৮ টাকা তো কোথাও ২০-২১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু আলুই নয় আলুর সঙ্গে বাকি আনাজের দামও ন্যায্য দামের তুলনায় অনেকটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বোলপুরের বাসিন্দা শুভঙ্কর সরকার, গৌতম প্রামাণিক, অরিজিৎ ঘোষরা বলেন, ‘‘মুদিখানার দোকান বা আনাজের বাজার— সব জায়গাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে কালোবাজারি চলছে। আমরা চাই প্রশাসনের তরফ থেকে যেন বিষয়টি দেখা হয়।’’
ব্যবসায়ীরা অবশ্য কালোবাজারির অভিযোগ মানছেন না। তাঁদের দাবি, লকডাউনে পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। বোলপুরের আনাজ ব্যবসায়ী, মুদিখানার ব্যবসায়ী, রমেশ সাউ, বিমল দাস, হারাধন দাসরা বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি না থাকায় কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতারা তা মানছেন না। তাঁরা মনে করছেন আমরা নিজে থেকেই সেই সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়েছি। আমদানি না থাকলে কী করব?’’
বোলপুরের মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারীকে বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিনই বোলপুর-সহ বোলপুর লাগোয়া বিভিন্ন বাজারগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছি। সকল ব্যবসায়ীকেই ন্যায্য দামে জিনিস বিক্রি করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy