পৌষমেলার মেয়াদ এক দিন বাড়ানোর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আর্জি খারিজ করে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে পৌষমেলা নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় থাকল আদালত। মামলাকারী তথা বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা নিয়ে আগের নির্দেশই বহাল থাকছে। মেলা তিন দিনের এবং তা গোটানোর জন্য এক দিন নিয়ে মোট চার দিনের পৌষ উৎসব হবে। উৎসবে থাকবে না বাজি পোড়ানোর অনুষ্ঠানও। বিশ্বভারতীর আর্জি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক।’’ এ দিকে, আগের মতো ‘ভাঙা মেলা’ চালিয়ে যেতে চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। সেই আর্জির এ দিন শুনানি হয়নি। তবে, বিশ্বভারতীর আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে ব্যবসায়ীদের দাবি আদৌ মানা হবে কিনা, তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে।
ঘটনা হল, পৌষ উৎসবে দূষণের অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুভাষবাবু। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ট্রাস্ট ডিড মেনে এবং বিশ্বভারতীর হলফনামা অনুযায়ী, গ্রামীণ কুটির শিল্পের কারিগরদের অগ্রাধিকার দিয়ে তিন দিনের পৌষমেলার প্রাচীন ঐতিহ্যটি ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় আদালত। যাবতীয় দূষণ বিধি মেনে আয়োজন করার পাশাপাশি মেলায় বাজির অনুষ্ঠানও বাতিল করে আদালত। যদিও মেলার দিন কমে গেলে তাঁদের অনেক ক্ষতি হবে, এই যুক্তি দেখিয়ে আদালতে ‘ভাঙা মেলা’র দিন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি। তারই মাঝে মেলার মেয়াদ বাড়ানো এবং বাজি পোড়ানোর অনুষ্ঠান করতে চেয়ে আর্জি জানায় বিশ্বভারতী। শেষপর্যন্ত যা নামঞ্জুর করেছে পরিবেশ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy