জোরাজুরি: বিষ্ণুপুরের গোপালগঞ্জে রবিবার। ছবি: শুভ্র মিত্র
চাঁদা নিয়ে দাদাগিরি। ভাইয়েরাও তাতে কম যায় না। সব মিলিয়ে কালী পুজোর আগে রবিবার বিষ্ণুপুর থাকল সরগরম। অভিযানে নামলেন এসডিপিও। দিনের শেষে শহর থেকে মোট চার জন বিলবই সমেত গ্রেফতার হয়েছেন।
এ দিন গোপালগঞ্জ, হাজরাপাড়া, গড়দরজা, শ্যামরাই মন্দিরের সামনে— সর্বত্র ছিল চাঁদার তোলার ধুম। ছোটরা আবার নেমেছিল বাঁশ আর দড়ি নিয়ে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জে বাজার করে ফেরার পথে রাস্তায় আড়াআড়ি টাঙিয়ে রাখা দড়িতে হোঁচট খেতে দেখা গেল এক গৃহস্থকে। বললেন, ‘‘এ তো আবদার নয়, অত্যাচার। অভিভাবকেরা কি জানেন না?’’
হাসপাতালে ঢোকার মুখে গোপালগঞ্জ। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বড় রাস্তা আটকেছিল রোদচশমা আর টিশার্ট পরা কিছু তরুণ। বেলা তখন ১২টা। বাস আটকে চলছে চাঁদা নিয়ে দর কষাকষি। কলকাতার দিক থেকে শহরে ঢোকার পথে গড়দরজা মোড়, হাজরা পাড়া— ছাড় নেই কোথাও। ছাড় নেই পর্যটকদের গাড়িরও।
পুজোর ছুটিতে কলকাতার ঢাকুরিয়ার দেবমাল্য বসু গাড়ি নিয়ে বিষ্ণুপুর বেড়াতে এসেছিলেন। বললেন, ‘‘আর কোনও দিন পুজোর সময়ে বিষ্ণুপুরে আসব না। বালুচরী কেনার টাকা চাঁদা দিতে গিয়েই ফুরিয়ে গেল প্রায়।’’ ক্ষুব্ধ গাইডেরাও। অঞ্জন নাগ, দীপক সুত্রধরেরা বলেন, ‘‘অলিগলিতে বাঁশ আর দড়ি নিয়ে চাঁদার উৎপাত দিন দিন বাড়ছে।’’ দলমাদল রোডের টেরাকোটা বাজারের দোকানদার পিন্টু দাস বলেন, ‘‘এ রকম চললে ছুটির মরসুমটায় আমাদেরই ক্ষতি হবে।’’
এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) সুকোমলকান্তি দাস জানান, রবিবার অভিযান চালিয়ে গড়দরজা এলাকা থেকে ৩ জন এবং কাটানধার বাউড়িপাড়া এলাকা থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিলবই। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি শহরের ৩২টি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এই ব্যাপারে পই পই করে সতর্ক করা হয়েছিল। চাঁদা নিয়ে উৎপাতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে এ দিনও জানিয়ে দিয়েছেন এসডিপিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy