E-Paper

ইংরেজি মাধ্যম জরুরি নয়, মত জয়েন্টে সেরার

কিংশুক বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র। তাঁর বাবা নির্মলেন্দু পাত্র হাই স্কুলের শিক্ষক। মা কৃষ্ণা পাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

তারাশঙ্কর গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ০৮:৪৭
কিংশুককে মায়ের মিষ্টিমুখ। পাশে দিদি ও বাবা।

কিংশুককে মায়ের মিষ্টিমুখ। পাশে দিদি ও বাবা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সাফল্য পেতে ইংরেজি মাধ্যম বা সর্বভারতীয় বোর্ডে পড়াশোনা করা আবশ্যিক বলে মনে করেন না এ বারের রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে প্রথম স্থানাধিকারী বাঁকুড়া শহরের কিংশুক পাত্র। সাফল্য পেতে তাঁর পরামর্শ, ‘‘প্রচুর বই পড়তে হবে। সাথে মক টেস্ট।’’

কিংশুক বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র। তাঁর বাবা নির্মলেন্দু পাত্র হাই স্কুলের শিক্ষক। মা কৃষ্ণা পাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। নিজের সাফল্যের পিছনে বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদানের কথা জানালেন এই কৃতী ছাত্র। আপাতত লক্ষ্য আইআইটিতে কম্পিউটার সায়েন্স পড়া। তবে ভবিষ্যতে বিদেশে গবেষণা, না এদেশেই চাকরি, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেননি।

পড়াশোনার পাশাপাশি কিংশুকের ভাল লাগে ক্রিকেট-ফুটবল খেলতে আর ছবি আঁকতে। তবে গত দু’বছর পড়াশোনার চাপে কোনওটাই সে ভাবে হয়ে ওঠেনি। তাঁর বিদ্যালয় বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কৃষ্ণধন ঘোষ বলেন, ‘‘কিংশুক প্রথম থেকেই এই বিদ্যালয়ের ছাত্র। খুব বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী। সাথে খুবই ভদ্র ও বিনয়ী। ওর সাফল্য কামনা করছি।।’’

কিংশুকের বাবা নির্মলেন্দু জানালেন, তাঁর মেয়ে পারমিতা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। ভাই কোনও বিষয় জানতে চাইলে, দিদি বলত, ‘বইয়ের অমুক জায়গায় রয়েছে। পড়ে দেখে নাও।’

নির্মলেন্দুর কথায়, ‘‘আসলে নিজে পড়ে জানলে সেটাই হয় প্রকৃত শিক্ষা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bankura

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy