রাজ্যের মন্ত্রীর স্বামীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগে শোরগোল বাঁকুড়ার খাতড়ায়। খাদ্য ও সরবার দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডিকে মারধর করার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা প্রত্যেকে বিজেপির কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও হামলার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া বাজারে ১৫-১৬ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে মন্ত্রীর স্বামীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে তুহিনের পিঠে এবং ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এখন বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রীর স্বামী। জ্যোৎস্না শুক্রবার রাতে সমাজমাধ্যমে স্বামীর ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্বামী মুদিখানার সামগ্রী কিনতে বাজারে গেলে বিনা প্ররোচনায় বিজেপি কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে। আমার স্বামী সরাসরি রাজনীতি করেন না। তিনি কোনও সভা-সমিতিতেও যান না। তার পরেও তাঁর উপর এই হামলায় নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।’’ মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমি বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসন এবং দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।’’
আরও পড়ুন:
যদিও বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দীপক দাস বলেন, ‘‘মন্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মিথ্যা অভিযোগে বিজেপির ৫ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’ দীপক ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী খাতড়া বাজারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায় পুলিশ। এমনকি, র্যাফ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশ অথবা র্যাফের লাঠির আঘাতে মন্ত্রীর স্বামী আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। অথবা তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতেই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন তিনি। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা কোনও ভাবে জড়িত নন।’’