E-Paper

কিছু লুকোতেই কি নানা রটনা, খুনের পরে প্রশ্ন

গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, মোড়ের মুখে একটি বাড়ি রয়েছে। সে বাড়ির এক মহিলাই এ সব কথা রটিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসীদের অনেকের দাবি।

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৯
এখানেই মেলে পীযূষের দেহ। রবিবার সাঁইথিয়ার শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতের কোনাইপুর গ্রামে।

এখানেই মেলে পীযূষের দেহ। রবিবার সাঁইথিয়ার শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতের কোনাইপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

শনিবার রাতে সাঁইথিয়া ব্লকের শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের কারণ রাজনৈতিক না কি সম্পর্কের টানাপড়েন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতের কোনাইপুর গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তার মোড়ে যেখানে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাতে নানা ‘ভয়ের কারণের’ কথা রটানো হয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের একাংশের। কিছু লুকোতেই এই রটনা কি না সেই প্রশ্নও তুলছেন স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, মোড়ের মুখে একটি বাড়ি রয়েছে। সে বাড়ির এক মহিলাই এ সব কথা রটিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসীদের অনেকের দাবি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওখানে পথচলতি মানুষের টাকা বা গয়না ছিনতাই হচ্ছে বলেও রটানো হয়েছিল।

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই মহিলার স্বামী ও দেওরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। ওই রটনার জেরে অনেকে গভীর রাতে ওই রাস্তায় অনেকে যাতায়াতও করতেন না বলে গ্রামবাসী জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ, নানা রটনা করে ওখানে বেআইনি কাজ হত। এমনকি এর সঙ্গে পীযূষও জড়িয়ে থাকতে পারেন বলে অভিযোগ একাংশের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক প্রৌঢ়া বলেন, “ওই মহিলার স্বামী, দেওর, শাশুড়ি মারা গিয়েছেন। উনি নানা ভয়ের কথা বলতেন। তবে আমরাও ওই রাস্তা দিয়ে রাতে পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু তেমন কিছু দেখিনি৷”

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে স্বামীহারা এক মহিলা থাকেন। অভিযোগ, ওই মহিলার সঙ্গে পীযূষের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই মহিলার সঙ্গে বালির ব্যবসাও শুরু করেন পীযূষ। রাস্তার মোড়ের ওই জায়গাটি ফাঁকা থাকায় সেখানেই বালি রাখা হত। রাতেই মূলত বালি নামানোর কাজ চলত। সহযোগিতা করতেন ওই মহিলাও।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে দাবি, খুনের পিছনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও নিহতের পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই পীযূষকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যা জানতে পারছি, পীযূষের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। এই ঘটনার জেরেই সম্ভবত এই খুন। পুলিশের তদন্তেই সবটা পরিষ্কার হবে।’’ দ্রুত এই ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sainthia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy