E-Paper

টাকা খরচে ‘ব্যর্থ’, তোপ বিরোধীর

প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে উন্নয়নমূলক কাজ করতে জেলাপরিষদ, সমিতি বা পঞ্চায়েতেগুলির মূল ভরসা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দই।

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পড়শি জেলা বাঁকুড়া পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ খরচে ‘সফল’ জেলাগুলির তালিকায় উঠে এসেছে। কিন্তু সেই সাফল্য থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে পুরুলিয়া। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে পঞ্চায়েত—সর্বত্র একই ছবি। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত জেলায় বরাদ্দের ৬৯.১৯ শতাংশ খরচ হয়েছে বলে দাবি। ঘটনা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে উন্নয়নমূলক কাজ করতে জেলাপরিষদ, সমিতি বা পঞ্চায়েতেগুলির মূল ভরসা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দই। ‘স্টেট প্ল্যান’ থেকে বরাদ্দ বর্তমানে অনেক কম পাচ্ছে নানা জেলা। দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ দিকে, জেলা পরিষদ ও কুড়িটি পঞ্চায়েত সমিতির সবগুলি তৃণমূল জিতেছে। জেলার ১৭০টি পঞ্চায়েতেরও বেশির ভাগ শাসকদলেরই দখলে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থ কমিশনের টাকা খরচ না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে শাসকদলের নেতাদের ‘কাটমানি’র দাবি-সহ নানা কারণে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় টাকা খরচ হয়নি। অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “জেলার সর্বত্রই উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। হয়তো বরাদ্দের সবটা নানা কারণে খরচ করা যায়নি। কেন এমন পরিস্থিতি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তবে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নানা প্রকল্প রূপায়ণে শাসকদলের এক শ্রেণির নেতার ‘ছড়ি ঘোরানো’র প্রবণতায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া, জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে সদস্যদের একাংশের সঙ্গে ঠিকাদারদের ‘অলিখিত বোঝাপড়া’ও প্রভাব ফেলছে বলে দাবি। অনেকের অভিযোগ, অনৈতিক উপায়ে কোন প্রকল্পে কোন ঠিকাদার কাজ করবেন, তা দরপত্র দেওয়ার আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে। তাতে সময়ে যেমন কাজ শেষ হচ্ছে না, টাকা খরচও বাধা পাচ্ছে। দরপত্র জমা না পড়ায় দেড়শোর মতো প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছিল বলে দাবি তুলছেন বিরোধীরা। জেলা পরিষদের বিরোধী সদস্য সমীর বাউরির অভিযোগ, “পুরুলিয়ার মতো রুক্ষ জেলায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেচ ব্যবস্থা তৈরিতে টাকা খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূলের জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি।”

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতোর দাবি, “প্রকল্প রূপায়ণে কিছু ক্ষেত্রে জমির সমস্যা ছিল। জল থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বড় পুকুর সংস্কার করা যায়নি। আরও কিছু বাস্তব সমস্যায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। তবে আমরা আন্তরিক ভাবেই চেষ্টা করছি সমস্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করতে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

purulia bankura

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy